“সুন্দরতা রক্ষা করতে ট্যাক্স দেওয়া অন্যায় নয়”— উত্তরাখণ্ডের সিদ্ধান্তে সায় পর্যটকদের

উত্তরাখণ্ডে নতুন করে আরোপ করা গ্রিন ট্যাক্স নিয়ে পর্যটকরা কী জানাচ্ছেন?

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
uttarakhand aa

নিজস্ব সংবাদদাতা:  পর্যটন মরসুম শুরুর আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল উত্তরাখণ্ড সরকার। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অন্য রাজ্যের গাড়ি রাজ্যে প্রবেশ করলেই দিতে হবে ‘গ্রিন ট্যাক্স’ বা পরিবেশ কর। রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কর শুধুমাত্র বাইরের রাজ্যের যানবাহনের ওপরই প্রযোজ্য হবে। রাজ্যের নিজস্ব গাড়িগুলিকে এই করের আওতায় আনা হবে না। ট্যাক্সের পরিমাণ গাড়ির ধরন অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে— ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্যুরিস্ট বাস, ট্রাক, ট্যাক্সি— প্রত্যেক শ্রেণির জন্য আলাদা হার থাকবে।

উত্তরাখণ্ডের পর্যটন কেন্দ্রগুলো— যেমন নৈনিতাল, মুসৌরি, হরিদ্বার ও রিষিকেশ— প্রতি বছর লাখো পর্যটকের আগমন ঘটে। এই বিপুল যানবাহনের চাপে রাজ্যের পরিবেশ ও পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে দূষণ ও ক্ষয়ের মাত্রা বেড়ে চলেছে। তাই, প্রশাসনের দাবি— এই নতুন গ্রিন ট্যাক্সের অর্থ পরিবেশ রক্ষায়, রাস্তা মেরামত ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হবে।

এ প্রসঙ্গে এক পর্যটক শ্রুতি বলেন, “আমার মনে হয় এই সিদ্ধান্ত একদম ঠিক। যেমন কোনও মেলায় ঢুকতে গেলে টিকিট কাটতে হয়, তেমনই সুন্দর জায়গাগুলির সৌন্দর্য বজায় রাখতে সরকার যদি সামান্য ট্যাক্স নেয়, তাতে ভুল কিছু নেই। আমরা যেভাবে এই প্রকৃতির আনন্দ নিই, তার যত্ন নেওয়াও আমাদের দায়িত্ব।”

Pushkar Singh Dhami

রাজ্য পরিবেশ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, “এই কর থেকে প্রাপ্ত অর্থ সম্পূর্ণভাবে উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হবে। পর্যটকদের অসুবিধা কমানোর জন্য অনলাইনে কর পরিশোধের ব্যবস্থাও চালু করা হবে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরাখণ্ড সরকারের এই পদক্ষেপ দেশজুড়ে অন্যান্য পর্যটন রাজ্যগুলিকেও অনুপ্রাণিত করতে পারে।