নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার গুয়াহাটিতে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা (এসিবি) মেইতেই গোষ্ঠীর আরামবাই টেংগোলের সদস্য আসেম কাননকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার পর মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সিবিআই জানায়, ২০২৩ সালের মণিপুর হিংসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অপরাধের কারণে ইম্ফল বিমানবন্দর থেকে কাননকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সিবিআই জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তারা মণিপুর হিংসার মামলাগুলোর তদন্ত করছে এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে এসব মামলার বিচার মণিপুর থেকে গুয়াহাটিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। কাননকে গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাকে পুলিশের হেফাজতের জন্য আদালতে তোলা হবে।
/anm-bengali/media/media_files/W9hqRC7xuhQXY1gxFn56.jpg)
পুলিশ জানিয়েছে, কানন ছাড়াও আরও চারজন আরামবাই টেংগোল সদস্যকে শনিবার ইম্ফল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যদিও সিবিআই তাদের নাম উল্লেখ করেনি।
এই ঘটনার পর ইম্ফলে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে টায়ার, কাঠ ও অন্যান্য জিনিস ফেলে সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, মক বোমা ও তাজা গুলি ছোড়ে। এক ১৩ বছরের কিশোর কাঁদানে গ্যাসের আঘাতে গুরুতর আহত হয় এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও থমথমে।
ইম্ফল ইস্টের প্যালেস কম্পাউন্ড থেকে শুরু করে ইম্ফল বিমানবন্দর পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার স্বেচ্ছাসেবকদের মুক্তির দাবিতে ১০ দিনের রাজ্যব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছে আরামবাই টেংগোল।
এদিকে, পূর্ব ইম্ফলের খুরাই এলাকা থেকে একটি মহিলা সংগঠন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, রাজ্যের বাইরে থাকা সব বিধায়কদের ১০ জুন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ইম্ফলে ফিরে এসে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। না হলে, এরপর তাদের মণিপুরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে। উপত্যকার জেলাগুলির পরিস্থিতি রবিবার বিকেল পর্যন্ত অস্থিরই ছিল।