/anm-bengali/media/media_files/2025/10/07/father-stalin-2025-10-07-19-30-31.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্র সরকার সোমবার বোম্বে হাই কোর্টে এক গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট জমা দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, অ্যাক্টিভিস্ট ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কারণে হয়েছিল।
এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন বান্দ্রার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোমলসিং রাজপুত, যিনি ২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল একটি বিস্তারিত তদন্ত চালান। তদন্তে দেখা গেছে, ৮৪ বছর বয়সী ফাদার স্ট্যান স্বামী “লবর নিউমোনিয়া জনিত সেপটিসেমিয়া”-তে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, যা একেবারেই “স্বাভাবিক মৃত্যু” (natural death)।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ফাদার স্বামীর চিকিৎসার সমস্ত নথি, জেল এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের বয়ান, ও ফরেনসিক রিপোর্ট — সব কিছুই গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/07/father-stan-2025-10-07-19-30-53.png)
তদন্তে আরও জানা যায়, ফাদার স্ট্যান স্বামী দীর্ঘদিন ধরে পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া তাঁর শ্রবণক্ষমতাও প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল এবং তাঁকে বারবার মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে পাঠানো হতো চিকিৎসার জন্য।
স্ট্যান স্বামীকে এলগার পরিষদ মামলায় গ্রেফতার করে ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর তালোজা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে, ২০২১ সালের ২৮ মে বোম্বে হাই কোর্টের নির্দেশে বান্দ্রার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মৃত্যু হয় ২০২১ সালের ৫ জুলাই রাত ১টা ২৪ মিনিটে।
তদন্তে তিনটি ছোটখাটো বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে এসব চিকিৎসা-সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার কারণে হয়েছিল, মৃত্যুর সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। মহারাষ্ট্র মানবাধিকার কমিশন (MSHRC), যারা এই রিপোর্টটি পেয়েছে, জানায় —“ফাদার স্ট্যান স্বামীকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। কোনও ধরনের অবহেলা, নির্যাতন বা ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি।”
কমিশন আরও জানিয়েছে, তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও প্রমাণিত হয়নি। ফলে মামলাটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে — “সমস্ত চিকিৎসা নথি, বিশেষজ্ঞের মতামত ও ফরেনসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করার পর দেখা গেছে, মৃত্যুটি না অস্বাভাবিক, না হত্যাজনিত।”
এদিকে, বোম্বে হাই কোর্ট বর্তমানে শুনানি চালাচ্ছে ফাদার ফ্রেজার মাসকারেনহাসের দায়ের করা একটি আবেদন নিয়ে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে ফাদার স্ট্যান স্বামীকে এলগার পরিষদ মামলায় অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ নভেম্বর।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us