/anm-bengali/media/media_files/2025/07/16/humika-2025-07-16-11-31-39.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা:গুজরাটের খেদা জেলার কাপাডবঞ্জে ঘটে গেল এমন এক নির্মম ঘটনা, যা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। প্রথমে মনে হয়েছিল এটি নিছকই একটি দুর্ঘটনা। ৭ বছরের ভূমিকা সোলাঙ্কির মৃত্যুকে ‘পা পিছলে পড়ে যাওয়া’ বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু এক মাস পেরোতেই মায়ের বুক ফেটে বেরিয়ে এল নির্মম সত্যি।
১০ জুন, খেদার বাসিন্দা বিজয় সোলাঙ্কি ও স্ত্রী অঞ্জনা তাঁদের বড় মেয়ে ভূমিকাকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক মন্দিরে। ফেরার সময়, অঞ্জনা তাঁর বাবা-মায়ের বাড়ি যেতে চাওয়ায় বিজয় ক্ষেপে ওঠেন। বলে ওঠেন, "আমি ছেলে চেয়েছিলাম, আর তুমি মেয়ে জন্ম দিয়েছ!"
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই, রাত ৮টা নাগাদ, কাপাডবঞ্জের ওয়াঘাভাত ব্রিজে বাইক থামিয়ে বিজয় তাঁদের ছোট্ট মেয়েকে নর্মদা ক্যানালের পাশে দাঁড় করিয়ে মাছ দেখানোর নাম করে ঠেলে ফেলে দেন স্রোতস্বিনী জলে। মুহূর্তে গিলে নেয় ভূমিকাকে নদীর প্রবল স্রোত।
অঞ্জনা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্তান হারান চোখের সামনে। এরপর বিজয় তাঁকে চুপ থাকতে বলে, হুমকি দেয় ডিভোর্সের। অঞ্জনাকে রেখে দেয় তাঁর বাপের বাড়িতে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/16/bhumika-and-her-father-2025-07-16-11-32-19.jpg)
প্রথমে পুলিশকে জানানো হয়, মাছ দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত ভূমিকা পড়ে গিয়েছিল ক্যানালে। মেয়ের চটি আর মৃতদেহ উদ্ধারের পরও ‘দুর্ঘটনার’ কাহিনিতে বিশ্বাস রেখেছিল পুলিশ। কিন্তু সন্দেহ দানা বাঁধতেই তদন্ত শুরু করে তারা। জেরা করে পরিবারের সদস্যদের। তখনই কান্নায় ভেঙে পড়ে অঞ্জনা। জানায়, কীভাবে চোখের সামনে বিজয় ঠেলে দিয়েছিল তাদের মেয়েকে মৃত্যুর মুখে।
সাংবাদিকদের সামনে কাঁদতে কাঁদতে অঞ্জনা বলেন, "ও (বিজয়) আমার অজান্তে ভূমিকাকে ক্যানালের ধারে দাঁড় করিয়েছিল। বলেছিল, মাছ দেখাবে। আর পরমুহূর্তেই ঠেলে ফেলে দেয় জলে। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমি কিছু করতে পারিনি। সেদিন রাতে ঘুমোতে পারিনি।"
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us