/anm-bengali/media/media_files/2025/07/11/tennis-player-2025-07-11-15-06-54.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: টেনিস কোর্ট ছেড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার আলো ঝলমলে দুনিয়ায় পা রাখার স্বপ্ন দেখেছিল বছর কুড়ির রাধিকা যাদব। এলভিশ যাদবকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে রাধিকার লক্ষ্য ছিল একজন সফল সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তব হলো না। ঘরে থাকা বাবার হাতেই জীবন কেড়ে নেওয়া হল তরুণী রাধিকাকে।
আলিগড় পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত বাবা দীপক যাদব গত কয়েক বছরে মেয়ের টেনিস প্রশিক্ষণের পিছনে খরচ করেছেন ২.৫ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি চোটের কারণে টেনিস কেরিয়ার থেকে ছিটকে পড়েন রাধিকা। এরপর থেকেই ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার দিকে ঝোঁকেন তিনি।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/11/tennis-a-2025-07-11-15-07-27.jpg)
রাধিকা তাঁর বাবাকে আশ্বস্ত করেছিলেন—“পাপা, আমার মাথায় অনেক কনটেন্ট আছে। আমি খেলার অনেক অভিজ্ঞতা পেয়েছি, এবার টাকা রোজগার করব।” রাধিকার বিশ্বাস ছিল, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি সফল হবেন। রিল শ্যুটের সময় প্রায়শই মাকে সঙ্গে নিতেন তিনি। পরিবারকে বলতেন, “আমি এমন কিছু করব না, যাতে আপনাদের মুখ লজ্জায় পড়ে।”
কিন্তু মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বাবা দীপক। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামের একাংশের কটূক্তি—“মেয়ের উপার্জনে দিন কাটছে”—এই কথাতেই দীপকের মানসিক চাপ চরমে পৌঁছয়। গত ১৫ দিন ধরে একপ্রকার নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। অবসাদগ্রস্ত অবস্থাতেই এই ভয়াবহ কাজ করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us