অফ-ডেতে মিটিং ডাকায় বেজায় রেগে গেলেন UK টিম—ভারতীয় ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ!

ছুটির দিনে মিটিংয়ে ডাকার ঘটনায় ভারতীয় ম্যানেজারের ওপর ক্ষেপে লাভ UK টিম।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
IT employeesa

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক ভারতীয় কর্মীর লেখা একটি পোস্ট রেডিটে ভাইরাল হয়ে উঠেছে, যেখানে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ম্যানেজার ছুটির দিনে মিটিংয়ে ডাকায় UK-ভিত্তিক কোম্পানির শীর্ষ কর্তারা সেই ম্যানেজারকে তীব্রভাবে তিরস্কার করেছেন।

রেডিটের ‘r/IndianWorkplace’ নামের সাবরেডিটে পোস্ট করা এই ঘটনার শিরোনাম ছিল— “আমার টক্সিক ভারতীয় ম্যানেজার অপমানিত হলেন, কারণ আমি তাঁকে UK টিমের সামনে এক্সপোজ করেছিলাম।” পোস্টে ওই তরুণী লেখেন, “ধরুন আমার ম্যানেজারের নাম ‘A’। আমি জেন জেড প্রজন্মের, জন্ম ২০০০ সালে। আমি একটি UK-ভিত্তিক কোম্পানিতে কাজ করি। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু দুই বছর আগে আমাদের জার্মান ম্যানেজারের বদলে এক ভারতীয় ম্যানেজার এলেন।”

it employees

এর পর থেকেই অফিসে নানা কঠোর নিয়ম চালু হয়। ওই ম্যানেজার কর্মীদের বলেন, প্রতিবার বিরতিতে যাওয়ার আগে মাইক্রোসফট টিমসে ব্রেক ঘোষণা করতে হবে, এবং দিনে সর্বাধিক দুটি ৩০ মিনিটের বিরতি নেওয়া যাবে।

তিনি আরও যোগ করেন, “ম্যানেজার আমাদের ডিরেক্টর ও অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের বোঝান যে তাঁর এই কঠোর নিয়মগুলো নাকি প্রোডাক্টিভিটি বাড়াচ্ছে। তাই কেউ তাঁকে প্রশ্নও করেনি।”

এমনকি, ওই ম্যানেজার প্রতিদিন তিন ঘণ্টার ‘স্ট্যান্ড-আপ মিটিং’ করতেন, যা কর্মীদের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর ও মানসিকভাবে ক্লান্তিকর হয়ে উঠেছিল।

কিন্তু সব সীমা ছাড়িয়ে যায় যখন ওই ম্যানেজার কর্মীর ছুটির দিনেও হোয়াটসঅ্যাপে বারবার ফোন করে মিটিংয়ে যোগ দিতে বলেন।

তিনি লিখেছেন, “আমি মিটিংয়ে যোগ দিতেই প্রোগ্রাম ম্যানেজার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি তো আজ ছুটিতে, তাহলে এখানে কেন?’ আমি বলি—‘ম্যানেজার বলেছিলেন যোগ দিতে।’ সঙ্গে সঙ্গে UK টিমের সবাই বলে ওঠে, ‘A, এটা HR নীতির বিরুদ্ধ, এমনটা চলবে না।’ এরপরই ম্যানেজার ক্যামেরা বন্ধ করে চুপ হয়ে যান।”

এই পোস্টটি রেডিটে প্রকাশের পর মুহূর্তেই হাজারো মানুষ তা শেয়ার ও কমেন্ট করেন। অনেকেই নিজেদের কর্মজীবনের একই রকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “অবশেষে কেউ সাহস করে ‘টক্সিক’ কর্মসংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলল।” ঘটনাটি এখন ভারতীয় কর্পোরেট সংস্কৃতি বনাম পশ্চিমা কাজের সংস্কৃতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।