/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/n7bMV3cL0trIE1fdhSDG.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির কার্তব্যপথে রবিবার বিকেলে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটল নাগরিক ক্ষোভের। বায়ুদূষণের ভয়াবহতার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন হাজারো মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃতি করছে এবং ক্লাউড সিডিংয়ের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এমনকি ব্যর্থ পরীক্ষার পরও কৃত্রিমভাবে মেঘ তৈরি ও বৃষ্টি ঘটানোর চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
বিক্ষোভস্থলে হাজির ছিলেন আম আদমি পার্টির একাধিক শীর্ষ নেতা, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রী সওরভ ভরদ্বাজও। উপস্থিত নাগরিকদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— “আমরা শ্বাস নিতে চাই”, “আমাদের বাঁচতে দাও”, “আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ বাঁচাও।”
বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের সরানোর চেষ্টা করে এবং গ্রেপ্তারের ভয় দেখায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের ঠেলে সরানোরও চেষ্টা করে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/09/delhi-pollution-a-2025-11-09-21-26-31.png)
রাজধানীর আকাশে বিষের ঘনঘটা। বাতাসে দূষণের মাত্রা এতটাই ভয়ঙ্কর যে দিল্লি এখন প্রবেশ করেছে ‘রেড জোনে’। বিভিন্ন অঞ্চলে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছুঁয়েছে ‘হ্যাজার্ডাস’ স্তর। দূষণের এই সংকটের মধ্যেই কার্তব্যপথে বিক্ষোভে উত্তাল শহর। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে গোটা এলাকায়, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী।
বিক্ষোভের মুখে রাজনৈতিক তরঙ্গও শুরু হয়েছে। একদল বলছে, সরকারের “বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা” আজ মানুষের জীবন বিপন্ন করছে। অন্যদিকে, প্রশাসনের দাবি— পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্লাউড সিডিং-সহ নানা পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠছে— সেই পরীক্ষাগুলি সফল নাকি বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে রাজধানীকে?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us