/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: কেরালায় ফের রাজনৈতিক বিতর্কের আগুন! ১৯৯৪ সালে রাজ্যসভা সাংসদ সি সদানন্দন মাস্টারের উপর নৃশংস হামলায় দোষী সাব্যস্ত আট সিপিএম কর্মীর জন্য প্রকাশ্যে ‘বিদায় অনুষ্ঠান’ ঘিরে উঠেছে প্রবল সমালোচনার ঝড়।
থালাসেরি আদালতের চত্বরে এবং পরে কান্নুরের মাট্টানুরে আয়োজিত এই ‘বিদায়’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদ সিপিএমের হেভিওয়েট নেত্রী ও প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী কে কে শৈলজা। অনুষ্ঠানস্থলে ‘সিপিএম জিন্দাবাদ’ ধ্বনি, হাততালি এবং ফুল-মালার ছড়াছড়ি দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধীরা। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দোষীদের উদ্দেশ্যে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছেন দলীয় সমর্থকেরা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে সংঘটিত একটি রাজনৈতিক হামলায় রাজ্যসভা সাংসদ সি সদানন্দন মাস্টার তাঁর দুই পা হারান। সেই ঘটনায় দোষী আট সিপিএম কর্মীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল বিচারালয়। তারা এতদিন জামিনে মুক্ত ছিল। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে দেওয়ায় সোমবার তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তার ঠিক আগেই এই ‘বরণ অনুষ্ঠান’।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/04/kerala-cpm-2025-08-04-18-59-03.jpg)
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সি সদানন্দন মাস্টার বলেন, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সমাজে এর ফলে ভয়ানক বার্তা যাবে। অপরাধকে যেন গর্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।”
প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও—একজন সাংসদের উপর বর্বর হামলায় দোষী সাব্যস্তদের কেমন করে ‘বীর’ সাজানো হয়? শাসক দলের এই মনোভাব কি অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না?
এ নিয়ে এখন উত্তাল কেরালার রাজনীতি। কংগ্রেস ও বিজেপি দু’দলই সিপিএম-এর এই পদক্ষেপকে গণতন্ত্রে ‘লজ্জার অধ্যায়’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। তবে সিপিএম এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us