/anm-bengali/media/media_files/2025/07/15/back-bencher-2025-07-15-18-39-49.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: “ব্যাকবেঞ্চাররা, সামনে এসে বসো”—এই বাক্যটি শোনেনি এমন ছাত্রছাত্রী পাওয়া দুষ্কর। কত শিক্ষকের মুখে যে শোনা গেছে এই কথা! দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের পিছনের বেঞ্চ হয়ে উঠেছে কারও কাছে নিরাপদ আশ্রয়, আবার কারও কাছে যেন এক রকম শাস্তি। কিন্তু সময় বদলাচ্ছে।
ভারতের একাধিক রাজ্যে—কেরল, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গে—স্কুলের ক্লাসরুমে বসার নিয়মে ধীরে ধীরে আসছে আমূল পরিবর্তন। পিছনের বেঞ্চ এখন আর থাকতে নাও পারে। লক্ষ্য একটাই—ক্লাসরুমে আর কোনও বসার ‘হায়ারার্কি’ থাকবে না, সবাই সমান গুরুত্ব পাবে, সকলের জন্য হবে একই রকম পরিবেশ।
আর এই পরিবর্তনের পিছনে কোনো শিক্ষাবিদ নন, না কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এর শুরুটা এক সিনেমা দিয়ে—এক মালায়ালম শিশু চলচ্চিত্র ‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টন’-এর একটি সাধারণ দৃশ্য থেকেই। এই দৃশ্যের প্রভাব এতটাই তীব্র ছিল যে একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে শুরু করেন। এবং ধীরে ধীরে শুরু হয় প্রচলিত শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থার পরিবর্তনের অভিযান।
শিক্ষকদের মতে, পিছনের বেঞ্চে বসা মানেই ছাত্রছাত্রীর অবহেলা বা অলসতা নয়। বরং, কখনও তা হতে পারে আত্মবিশ্বাসের অভাব বা শ্রবণ/দৃষ্টিসংক্রান্ত সমস্যা। তাই, নির্দিষ্ট বেঞ্চের ভিত্তিতে ছাত্রদের বিচার না করে, ক্লাসের গঠনেই বদল আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে গোলাকার বসার ছক, যেখানে সকলেই শিক্ষকের মুখোমুখি বসতে পারে। কোথাও আবার ছাত্রদের স্বেচ্ছায় বসার স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে।
এই নীরব বিপ্লব হয়তো আগামী প্রজন্মের জন্য আরও আত্মবিশ্বাসী, যুক্তিশীল ও সমানতালভুক্ত শিক্ষাজগৎ গড়ে তুলবে।