/anm-bengali/media/media_files/2025/07/06/dalai-lama-a-2025-07-06-21-13-35.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দালাই লামার উত্তরসূরি নির্ধারণ নিয়ে চলমান আন্তর্জাতিক বিতর্ক আরও জোরালো হয়ে উঠেছে, যখন ভারতের চিনা রাষ্ট্রদূত রবিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, “দালাই লামার পুনর্জন্ম প্রথা চালু থাকবে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বর্তমান (১৪তম) দালাই লামার নেই।”
এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন সদ্য এক সাক্ষাৎকারে ১৪তম দালাই লামা তাঁর উত্তরসূরি সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, তাঁর পুনর্জন্মের সিদ্ধান্ত চিনা সরকারের নয়, বরং এটি একটি নির্ধারিত ট্রাস্ট বা সংস্থার ওপর নির্ভর করবে। এছাড়াও, তিনি এই প্রথমবারের মতো স্পষ্ট করে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে তাঁর পুনর্জন্ম ঘটবে।
দালাই লামার এই ঘোষণার পরে চিনা রাষ্ট্রদূতের পাল্টা মন্তব্যকে বিশেষজ্ঞরা একটি কূটনৈতিক বার্তা বলেই দেখছেন। অনেকেই মনে করছেন, এটি তিব্বতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা।
দালাই লামা বিশ্বের অন্যতম শ্রদ্ধেয় বৌদ্ধ ধর্মগুরু, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাসনে ভারতের ধর্শালায় অবস্থান করছেন। তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের পদ্ধতি ও তাঁর পরবর্তী রূপে কোথায় এবং কীভাবে জন্ম নেবেন—এই প্রশ্নটি এখন কেবল ধর্মীয় নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্যতম বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
চিন বহুবার দাবি করেছে যে, দালাই লামার পুনর্জন্ম প্রথা তাদের অধীনে থাকা একটি প্রশাসনিক ও ঐতিহ্যগত বিষয়, যেখানে দালাই লামা নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। অপরদিকে, দালাই লামা ও তাঁর অনুগামীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক, যার মধ্যে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলবে না।
বর্তমানে গোটা বিশ্ব কৌতূহলের সঙ্গে তাকিয়ে আছে, কারণ এই বিতর্ক কেবল একজন ধর্মগুরুর উত্তরাধিকার নয়, বরং তিব্বতের ভবিষ্যৎ পরিচয় ও আত্মপরিচয় রক্ষার লড়াই।