নিখোঁজের ৩ দিন পর কাবেরীতে ভেসে উঠল পদ্মশ্রী ডঃ সুব্বান্না আয়্যাপনের দেহ! রহস্যমৃত্যু নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছে

নিখোঁজের ৩ দিন পর কাবেরীতে ভেসে উঠল পদ্মশ্রী ডঃ সুব্বান্না আয়্যাপনের দেহ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
missinf scientist

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের ‘ব্লু রেভলিউশন’-এর অন্যতম পথপ্রদর্শক এবং প্রাক্তন আইসিএআর (ICAR)-এর মহাপরিচালক, পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত ডঃ সুব্বান্না আয়্যাপনের মৃতদেহ উদ্ধার হল কাবেরী নদী থেকে, একাধিক প্রশ্ন রেখে গেল তাঁর মৃত্যু ঘিরে।

শনিবার মাণ্ড্য জেলার শ্রীরঙ্গপট্টনার সাই আশ্রমের কাছে কাবেরী নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে দেহটি চিহ্নিত করা হয় ডঃ আয়্যাপনের হিসেবে। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি গত ৭ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন, এবং তাঁর স্কুটারও নদীর ধারে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।

ডঃ আয়্যাপন কর্ণাটকের মাইসুরুতে স্ত্রী-সহ বসবাস করতেন। পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গোটা ঘটনার তদন্তে নামে স্থানীয় পুলিশ।

padmashree scientist


ভারতের জলে মাছচাষ ও মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানোয় ডঃ আয়্যাপনের অবদান ছিল অমূল্য। তিনি ‘ব্লু রেভলিউশন’-এর মূল স্থপতি হিসেবে পরিচিত, যাঁর গবেষণা ও নয়া পদ্ধতি ভারতের উপকূল ও অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের মৎস্যচাষে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিল। ২০২২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।


ডঃ সুব্বান্না আয়্যাপনের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১০ ডিসেম্বর, কর্ণাটকের চামরাজনগরের ইয়েলান্ডুরে। ১৯৭৫ সালে ম্যাঙ্গালুরু থেকে বিএফএসসি (BFSc), ১৯৭৭ সালে এমএফএসসি (MFSc), এবং ১৯৯৮ সালে ব্যাঙ্গালুরুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। এই প্রখ্যাত বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে ভারতের কৃষি ও মৎস্য গবেষণার জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যাকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে কাবেরী নদীতে তাঁর মৃত্যু হল, তা জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অপেক্ষায় প্রশাসন।