১১ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকিয়ে ছিল মৃত্যুবাহী গাড়ি! CCTV ফুটেজে ধরা পড়ল সন্দেহভাজন তিন জনের মুখ

লালকেল্লা বিস্ফোরণের গাড়ি ১১ দিন আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রাখা ছিল। ডা. মোহাম্মদ উমর আতঙ্কিত অবস্থায় গাড়ি নিয়ে বেরোলেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। CCTV ফুটেজে ধরা পড়েছে তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তি।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
delhi blast cctv footage


নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য— যে হুন্ডাই i20 গাড়িটি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল, সেটি প্রায় ১১ দিন ধরে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পার্ক করে রাখা ছিল।

তদন্ত সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি ২৯ অক্টোবর কেনা হয়, এবং কেনার পরই সেটি দূষণ নিয়ন্ত্রণ শংসাপত্র (PUC) করানোর জন্য একবার বাইরে নেওয়া হয়েছিল। এরপর সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে দীর্ঘ সময় ধরে রেখে দেওয়া হয়। ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত গাড়িটি নড়েনি বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

সূত্রের দাবি, CCTV ফুটেজে দেখা গিয়েছে তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি গাড়িটির চারপাশে ঘোরাফেরা করছে। তাঁরা কারা, তাঁদের ভূমিকা কী— সে দিকেই এখন নজর গোয়েন্দাদের।

আরও বড় ধাক্কা আসে ১০ নভেম্বর সকালে। ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ডা. মোহাম্মদ উমর আতঙ্কিত মুখে গাড়ি চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে বের হচ্ছেন। কিছু ঘণ্টা পরেই সেই গাড়িতেই ঘটে লালকেল্লার কাছে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, যাতে প্রাণ যায় অন্তত ১২ জনের।

Umar delhi blast

তদন্তকারীরা মনে করছেন, গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থাতেই বিস্ফোরক ভরা হয়েছিল। এই ১১ দিনেই সম্পূর্ণ পরিকল্পনা সাজানো হয়। ফরিদাবাদে ধরা পড়া জইশ-ই-মোহাম্মদের ‘হোয়াইট কলার’ মডিউলের সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি যোগ রয়েছে বলেই সন্দেহ জোরদার হচ্ছে।

অন্যদিকে, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, তারা তদন্তে সহযোগিতা করছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনেরও বেশি শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

দিল্লি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, “এখন এই গাড়িটিই আমাদের তদন্তের মূল সূত্র। কে, কীভাবে এত বিপজ্জনক পরিমাণ বিস্ফোরক ভর্তি করল, তার উত্তর এখানেই লুকিয়ে।”