/anm-bengali/media/media_files/9C2UBrnBfN8GkOFVIOXg.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণা ঘিরে তোলপাড় চলতেই, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলল। দিল্লির বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিল, তারা রায়ের বিষয়টি “আনুষ্ঠানিকভাবে নোট” করেছে এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশের মানুষের সর্বোত্তম স্বার্থেই ভারত তার দায়িত্ব পালন করবে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়—বাংলাদেশ ভারতের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী, তাই সে দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির ভাষায়, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ‘গঠনমূলকভাবে’ আলোচনা ও সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।
ঢাকায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, নাটকীয় ক্ষমতাপরিবর্তন এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়া যেমন নজর রাখছে, ভারতেও সেই নজর আরও গভীর। বাংলাদেশের আদালতের এই রায় দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। আর সেই পরিস্থিতিতে ভারত সরাসরি মন্তব্য না করে বরং কূটনৈতিক পরিমিতিবোধ বজায় রেখে জানাল—মানুষের স্বার্থই সবার আগে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/01/10/VSNoMC2zmPb8HxzuW93i.jpeg)
দিল্লির এই বার্তার রাজনৈতিক তাৎপর্যও কম নয়। কারণ যেভাবে বাংলাদেশের নতুন প্রশাসন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে, তার মাঝে ভারত এই ঘোষণা দিয়ে বোঝাল যে তারা কোনো ব্যক্তিকে নয়—বাংলাদেশের পুরো জনগণকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিক, ভারত ‘ব্যালেন্সড পজিশন’ বজায় রেখে প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকেই নজর দিচ্ছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য। সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। এমন অবস্থায় ভারতের এই মধ্যপন্থী বার্তা নিঃসন্দেহে কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us