নিজস্ব সংবাদদাতা: মহিলারা শিক্ষিত হচ্ছে বলেই পরিবারপিছু সন্তানের জন্ম কম হচ্ছে যা ভারতের জনসংখ্যার জন্য ভাল নয়, এই কথা বলে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করলেন আরএসএস (RSS) ঘনিষ্ঠ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক (Co-Convener of Swadeshi Jagran Manch) অশ্বিনী মহাজন (Ashwani Mahajan)। একটি প্রবন্ধে তিনি এই দাবি করেছেন। অন্যদিকে, চলতি মাসের অন্তর্বর্তী বাজেটে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও জনবিন্যাসের পরিবর্তনের ফলে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধানের রাস্তা কী হতে পারে তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। এই নিয়ে বিরোধী মহলে উঠেছে হাসির রোল। তারা বলছেন, এক দিকে সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি গড়ছে। অন্য দিকে অশ্বিনী (Ashwani Mahajan) দাবি করছেন, দেশের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। তিনি নিজেই স্ব-বিরোধী মন্তব্য করছেন। ওই প্রবন্ধে নারীবিদ্বেষ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছে। তাঁর মতে, মহিলার শিক্ষার হার যত বেড়েছে তত জন্মহার কমতে দেখা গিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, স্নাতক বা তাঁর চেয়ে বেশি শিক্ষিত মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালে জন্মহার ছিল ১.৬২। যা ২০১১ সালে হয় ১.৪০। অন্য দিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালে জন্মহার ছিল ২.০৮ এবং ২০১১ সালে তা গিয়ে দাঁড়ায় ১.৭৭। তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এবিষয়ে বলেন, ‘‘তা হলে কি ধরে নিতে হবে গেরুয়া শিবির মহিলাদের স্বশক্তিকরণে বিশ্বাস করে না। তারা কি চায় না মহিলারা শিক্ষিত হোক?’’
শিক্ষিত মহিলারাই দেশে জন্মহার কমাবার জন্য দায়ী!
শিক্ষিত মহিলাদের জন্যই দেশে জন্মহার কমছে। এই বিস্ফোরক মন্তব্য করে কটাক্ষের শিকার হলেন অশ্বিনী মহাজন। বিরোধীরা বলছে তিনি স্ব-বিরোধী মন্তব্য করেছেন।
Follow Us
নিজস্ব সংবাদদাতা: মহিলারা শিক্ষিত হচ্ছে বলেই পরিবারপিছু সন্তানের জন্ম কম হচ্ছে যা ভারতের জনসংখ্যার জন্য ভাল নয়, এই কথা বলে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করলেন আরএসএস (RSS) ঘনিষ্ঠ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক (Co-Convener of Swadeshi Jagran Manch) অশ্বিনী মহাজন (Ashwani Mahajan)। একটি প্রবন্ধে তিনি এই দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, চলতি মাসের অন্তর্বর্তী বাজেটে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও জনবিন্যাসের পরিবর্তনের ফলে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধানের রাস্তা কী হতে পারে তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।
এই নিয়ে বিরোধী মহলে উঠেছে হাসির রোল। তারা বলছেন, এক দিকে সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি গড়ছে। অন্য দিকে অশ্বিনী (Ashwani Mahajan) দাবি করছেন, দেশের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। তিনি নিজেই স্ব-বিরোধী মন্তব্য করছেন। ওই প্রবন্ধে নারীবিদ্বেষ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছে।
তাঁর মতে, মহিলার শিক্ষার হার যত বেড়েছে তত জন্মহার কমতে দেখা গিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, স্নাতক বা তাঁর চেয়ে বেশি শিক্ষিত মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালে জন্মহার ছিল ১.৬২। যা ২০১১ সালে হয় ১.৪০। অন্য দিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালে জন্মহার ছিল ২.০৮ এবং ২০১১ সালে তা গিয়ে দাঁড়ায় ১.৭৭।
তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এবিষয়ে বলেন, ‘‘তা হলে কি ধরে নিতে হবে গেরুয়া শিবির মহিলাদের স্বশক্তিকরণে বিশ্বাস করে না। তারা কি চায় না মহিলারা শিক্ষিত হোক?’’