/anm-bengali/media/media_files/2025/05/08/1000200799-896838.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশের বিমান পরিবহণে দফায় দফায় বিপর্যয়, দেরি, বাতিলের মধ্যে যখন যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে, ঠিক তখনই পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিল এয়ার ইন্ডিয়া। সংস্থাটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানিয়েছে—“আকাশই শেষ নয়, এটাই শুরু।” ভারতীয় বিমান চলাচলের ভবিষ্যৎকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অভিজ্ঞ পাইলটদের আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার বক্তব্য, তাদের বাড়তে থাকা বহরে অভিজ্ঞ B737 এবং A320 পাইলট নেওয়া হবে। A320-র জন্য ‘টাইপ-রেটেড’ অভিজ্ঞ পাইলট চান তারা। আর B737-এর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ‘টাইপ-রেটেড’ এবং ‘নন-টাইপ-রেটেড’—দুই ধরনের পাইলটই নেওয়া হবে। কোনও নির্দিষ্ট বিমানের প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা সম্পূর্ণ করে যে সার্টিফিকেশন পাওয়া যায়, তাকেই টাইপ রেটিং বলা হয়। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২২ ডিসেম্বর।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/05/08/1000200800-266386.jpg)
সাধারণত এ ধরনের বিজ্ঞাপন পাইলটদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত, কিন্তু এবার আলোচনায় এসেছে অন্য কারণে—ইন্ডিগোর চলমান বিপর্যয়। কয়েক দিন ধরে ইন্ডিগো শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করছে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করে বারবার আপডেট দিচ্ছে।
সোমবার ১,৮০০ ফ্লাইট চালিয়েছে ইন্ডিগো, রবিবার ছিল ১,৬৫০। অন-টাইম-পরফরম্যান্স বেড়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে রবিবার ছিল ৭৫ শতাংশ। সংস্থার দাবি, নেটওয়ার্ক এখন সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক। সোমবারের যেসব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, তার সব খবরই আগের দিন যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ৮২৭ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে ইন্ডিগো, বাকি রিফান্ড প্রক্রিয়াধীন।
গত বছর পাইলটদের ক্লান্তি দূর করতে DGCA যে নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন নিয়ম এনেছিল, ইন্ডিগো সেই নিয়ম অনুযায়ী ক্রু রোস্টার সাজাতে পারেনি। এর ফলেই বাতিল ও দেরির সংখ্যা বাড়ে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে DGCA কিছু নয়া নিয়ম সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে।
সোমবার ছয়টি মেট্রো শহর থেকে ইন্ডিগো ৫৬২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। শুধু বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকেই বাতিল হয়েছে ১৫০টি ফ্লাইট। মোট ২,৩০০ দৈনিক ফ্লাইটের মধ্যে ৫৬০টিই বাতিল হয়ে যায়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us