যুদ্ধ বিরতির মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ! কোন তথ্য গোপন করছে ভারত

এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক বিমান বন্দরে বিমান চলাচল ১৩ মে পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Flight


নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের উত্তরের ও পশ্চিমের বেশ কয়েকটি শহরে বিমান পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া।

ইন্ডিগোর ঘোষণা:
ইন্ডিগো জানিয়েছে, ১৩ মে শনিবার রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড় ও রাজকোটে যাওয়া-আসার সব বিমান বাতিল করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, "আমরা জানি এই সিদ্ধান্ত অনেক যাত্রীর পরিকল্পনায় অসুবিধা আনবে, যার জন্য আমরা দুঃখিত। পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং পরবর্তী আপডেট দ্রুত জানিয়ে দেওয়া হবে।"

এয়ারইন্ডিয়ার সিদ্ধান্ত:
এয়ার ইন্ডিয়াও জম্মু, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভূজ, জামনগর, চণ্ডীগড় ও রাজকোটের যাওয়া-আসার বিমান ১৩ মে বাতিল করেছে। সংস্থাটি তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, "বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং প্রয়োজন হলে আপডেট দেব।"

indigo

ঘটনার নেপথ্যে  কারণ:
সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে অমৃতসরগামী একটি ইন্ডিগো ফ্লাইট মাঝপথ থেকে ফিরে আসে, কারণ অমৃতসরে ব্ল্যাকআউট সতর্কতা জারি করা হয়। এই সতর্কতার মধ্যে সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, সাম্বা, অখনূর, জয়সালমের ও কাঠুয়ায় ড্রোন দেখা গেছে বলে কিছু খবর থাকলেও, মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো নতুন ড্রোন গতিবিধি চোখে পড়েনি এবং যুদ্ধবিরতি বজায় রয়েছে।

এয়ারপোর্ট খোলা, তবে সতর্কতা অবলম্বন:
ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) সোমবার থেকেই এই এয়ারপোর্টগুলো পুনরায় চালু করেছে। তবে ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এখনো সতর্কতা অবলম্বন করে পরিষেবা স্থগিত রেখেছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার আশ্বাস:
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, "নাগরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর চালুর নোটিশ দেওয়ার পর আমরা ধীরে ধীরে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেছি। আমাদের টিম কাজ করছে যাতে দ্রুত যাত্রীসেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো যায়।"

রাতের আকাশে বিস্ফোরণ:
এদিকে সাম্বা সেক্টরে পাকিস্তানের ড্রোন ঢোকার চেষ্টা করা হলে ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে। আকাশে লাল রঙের আলো ও বিস্ফোরণের শব্দ দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ড্রোনগুলিকে ধাওয়া করা হচ্ছে এবং আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। যাত্রীরা ভবিষ্যতের আপডেট জানার জন্য এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল চ্যানেল ও ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।