/anm-bengali/media/media_files/2025/07/21/maobadi-2025-07-21-18-38-33.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী আজ যেন একের পর এক সাফল্য তুলে আনছে। সকালে শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিদমা encounter–এ নিহত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের জুড়ে নড়েচড়ে বসেছে গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। সন্ধ্যা নামতেই জানা গেল আরও বড় খবর— মোট ৩১ জন মাওবাদী কর্মী ও সমর্থককে একযোগে গ্রেফতার করেছে অন্ধ্র পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দেবজির নিরাপত্তা দলের নয় সদস্যও। দীর্ঘদিন ধরে যাদের কার্যকলাপ অত্যন্ত গোপনীয় ছিল, সেই দলকেই এবার গ্রেফতারের পর সামনে আনা হল।
সূত্র জানাচ্ছে, হিদমা encounter–এর পর নজরদারি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। ভিজয়ওয়াড়া, এনটিআর জেলা, কৃষ্ণা, কাকিনাডা— একের পর এক এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। গভীর রাতে অভিযান চালিয়েই ধরা পড়ে ৩১ জন। কৃষ্ণা জেলার পেনামালুরুতে এক বাড়ি থেকে ছয়জনকে একসঙ্গে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, বাড়িটিকে গোপনে নকশালদের ‘শেল্টার জোন’-এ পরিণত করা হয়েছিল। সেখানে বসেই পরিকল্পনা হতো নানা গোপন কার্যকলাপের।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/18/naxal-leader-a-2025-11-18-21-39-46.png)
এখানেই শেষ নয়। বিশেষ অভিযান চালায় OCTOPUS— Organisation for Counter-Terrorist Operations। তাদের হাতে উঠে আসে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। উদ্ধার হয়েছে AK-47 রাইফেল, বিপুল ডেটোনেটর ও আরও নানা সামগ্রী। এত বড় অস্ত্র মজুত রাখা হচ্ছিল কোন উদ্দেশ্যে, কার নির্দেশে— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর অন্ধ্রপ্রদেশে মাওবাদী নেটওয়ার্কের শক্ত ঘাঁটিতে বড় ধাক্কা লেগেছে বলে মত নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। দেবজির নিরাপত্তা দলের সদস্যরা ধরা পড়ায় সংগঠনের ভেতরেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। হিদমার মৃত্যু, তারপর এই গ্রেফতার— গোটা নকশাল চক্র কি ভাঙনের মুখে? জল্পনা তুঙ্গে।
প্রশাসন অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, অভিযান চলবে। যে কোনও জায়গায় গোপন তৎপরতা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, এ ধরনের বড় অভিযান ভবিষ্যতে আরও হতে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us