‘Party থেকে শেষ যাত্রা’ — পুলিশের নির্মম আঘাতে ২২ বছরের স্বপ্নের ছিন্নভিন্ন সমাপ্তি!

পুলিশের নির্মম অত্যাচারে প্রাণ গেল ২২ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
dead

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোপালের নীরব রাতটা আচমকা দলবেঁধে চিৎকারে ভরে উঠেছিল। শনিবার ভোররাতে মৃত্যু হলো ২২ বছরের এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের—নাম উদিত। পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, এবং সেই মুহূর্তের ভিডিও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

উদিত ছিলেন ভোপালের টিআইটি কলেজের বি টেক ছাত্র। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কিছু বন্ধুর সঙ্গে ইন্দ্রপুরীতে একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। বন্ধুদের একজন জানিয়েছেন, রাত প্রায় দেড়টার দিকে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই পুলিশ তাঁদের গাড়ি থামায়। আতঙ্কে উদিত হঠাৎ গলির দিকে দৌড় দেন, আর তখনই দুই পুলিশকর্মী পিছু নিয়ে তাকে ধরে ফেলেন।

ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন পুলিশকর্মী উদিতকে ধরে রাখছেন, আর অন্যজন নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে চালাচ্ছেন আঘাতের পর আঘাত। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তরুণ ছাত্রটির মৃত্যু হয়।

crime scene.jpg

ভোপাল জোন ২ এর ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) বিবেক সিং জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুই কনস্টেবল—সন্তোষ বামনিয়া ও সৌরভ আর্য—কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদিতের পরিবার এখন শোকে ভেঙে পড়েছে। তাঁর বাবা ভিএইচইএলে কাজ করেন, মা একজন স্কুলশিক্ষিকা, আর তাঁর দুলাভাই বালাঘাটের অ্যান্টি-নকশাল ইউনিটে ডিএসপি পদে কর্মরত। পরিবারের দাবি, “উদিত কখনো অপরাধে জড়িত ছিল না, সে কেবল পুলিশের ভয়ে দৌড়েছিল।”

তরুণের মৃত্যুতে উত্তাল হয়েছে ভোপাল। স্থানীয় ছাত্ররা প্রতিবাদ শুরু করেছে, দাবি উঠেছে—ঘটনাটি ‘এক্সিডেন্ট নয়’, এটি পুলিশি নৃশংসতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় #JusticeForUdit ট্রেন্ড করছে।

মানুষের কণ্ঠে এখন শুধু একটাই প্রশ্ন— “একজন নির্দোষ তরুণকে পুলিশের হাতে লাঠিপেটায় মরতে হবে, এটা কি ন্যায়?”