/anm-bengali/media/post_banners/kzgzo22aEus2NEElAKZR.jpg)
নিউজ ডেস্ক, ঝাড়গ্রামঃ বনধ সফল করতে জায়গায় জায়গায় রাস্তায় বামেদের মিছিল সহ বাইকবাহিনীর টহল চোখে পড়ছে। ঠিক তার উল্টো ছবি চোখে পড়েছে ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রাম শহরে তৃণমূলের ঝাণ্ডা কাঁধে নিয়ে সকাল থেকেই শহরবাসীকে দোকান খোলার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাস্তায় নেমে পড়ে ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর গোবিন্দ সোমানি, ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজিত মাহাত। ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ রাস্তায় নেমে শহরের দোকানদারদের দোকান বাজার খুলে রাখার অনুরোধ জানান।
১২ দফা দাবিকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলি দু'দিনের বন্ধের ডাক দিয়েছে। সেই বনধকে সফল করতে সোমবার সকাল থেকেই রাস্তায় নামে সিপিআইএম, সিপিআই, এসইউসিআই এর সমর্থকরা। ঝাড়গ্রাম শহরের রাস্তায় মিছিল করে এসইউসিআই। ঝাড়গ্রাম শহরের পাশাপাশি গোপীবল্লভপুর, শিলদাহয় সকাল থেকে পথ অবরোধে শামিল হয় স্থানীয় সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকরা। অবশ্য এদিন সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে রাস্তায় কোন বাসের দেখা নেই। পণ্যবাহী লরি ও ছোট গাড়িরও দেখা নেই। পেট্রোল পাম্পগুলিতে এবং ব্যাঙ্কগুলিতে সিপিআইএমের দলীয় পতাকা বেঁধে দেওয়ায় সিংহভাগ পেট্রোল পাম্প ও ব্যাঙ্ক আজ বন্ধ রয়েছে। ঝাড়গ্রামের জুবিলি মার্কেট সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ঝাড়গ্রামের সবজি বাজার ও পাইকারি সবজি বাজার স্বাভাবিক দিনের মতোই খোলা রয়েছে। পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন, "বনধকে মানুষ সমর্থন করেনি। জোরপূর্বক বনধ করা হচ্ছে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে আমরা রাস্তায় নেমেছি। সাধারণ মানুষদের দোকান খোলার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। ভয় পাবার কিছু নেই। সেইমতো ঝাড়গ্রাম শহর প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে"।
​
সিপিআই এর যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রতীক মৈত্র বলেন, সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধকে সমর্থন করেছে, আমরা কোন জোর করিনি। আমরা কেবল মাত্র আবেদন করেছিলাম। আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে সাধারণ মানুষ"। এছাড়াও তিনি রাস্তায় নেমে শহরের দোকান খোলা নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, "যিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন, যাকে আমরা দিদি বলে সম্মান করি, তিনি সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক ট্রেড লাইসেন্সের ভয় দেখিয়ে দোকান খোলা করাচ্ছেন"।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us