ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

হরি ঘোষ, অন্ডালঃ  ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল অন্ডালের কাজড়া এলাকায়। ১০০ দিনের কাজে গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘাত। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ অন্ডালের কাজড়া মোড় সেন্ট্রাল তৃণমূল কার্যালয়ে। ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা গৌতম মজুমদার জানান, সেন্ট্রাল কাজড়া এলাকায় এক মহিলার জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, বলে অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় গিয়ে দুই পক্ষের আলোচনায় সুষ্ঠু মীমাংসা হয় বলে জানান গৌতমবাবু। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দন সিং, জিতেন্দর লাল ও শম্ভু যাদবের নেতৃত্বে সেন্ট্রাল কাজড়া এলাকা থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে তাদের তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ।

হামলায় গৌতম বাবুর অফিসের একজন তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটে এবং গৌতমবাবু নিজেও আহত হন। ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালানো হয় কার্যালয়ে, ভেঙে ফেলা হয় চেয়ার টেবিল। কার্যালয়ে সেই সময় অবস্থিত বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়। তৃণমূল নেতা গৌতম মজুমদার বলেন "বিজেপি থেকে আসা চন্দন সিং-রা বর্তমানে তৃণমূল করছে মুনাফার লোভে।" অন্যদিকে ফোনে চন্দন সিংয়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন "তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। শুধুমাত্র একজনের একশো দিনের কাজ হচ্ছে না বলে এরকম গন্ডগোল পাকানো ঠিক নয়।" তিনি আরও বলেন "যদি কেউ কাজ পাচ্ছে না তাহলে অনেক রাস্তা রয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্যকে জানাতে হয় ,সদস্য না কাজ করলে পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো দরকার, না হলে বিডিও রয়েছে সর্বোপরি। এসব কিছু না করে শুধু শুধু ঝামেলা পাকানোর জন্যই গৌতম বাবুরা এই কাজ করছেন।"

চন্দন সিং জানান কাজ না পেয়ে এলাকার বেশ কিছু জব কার্ড হোল্ডাররা আজ কাজড়া মোড় পার্টি অফিসে যায় এবং কথা কাটাকাটির পর ধাক্কাধাক্কিতে হয়ত চেয়ার টেবিল ভেঙে গেছে কিন্তু কেউ পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন "গৌতমবাবুর অফিসে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা লোকেরাই ভিড় করে থাকেন। তাঁরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।" 

কিন্তু যাই হোক বর্তমানে উভয় পক্ষই তৃণমূল কর্মী সমর্থক তাই এলাকায় তৃণমূলের লোকেরা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তথ্য সামনে এনেছে এমনটাই মত স্থানীয়দের একাংশের ।