হরি ঘোষ, লাউদোহাঃ প্রত্যেক বছরই বর্ষার সময় অজয় নদীর ভাঙনের ফলে প্লাবিত হয়ে পড়ে পান শিউলি, মাধাইপুর গ্রামের বেশ কিছু অংশ । তাই বর্ষা এলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা । এই সমস্যা দীর্ঘদিনের । গ্রামের এক শ্রেণির মানুষ মনে করেন অবৈধভাবে নদীর বুক থেকে বালি তুলে নেওয়ার ফলে গতি হারিয়েছে নদী। তাই একটু বর্ষা হলেই প্লাবিত হয়ে ওঠে এলাকা ।
তবে সেই বন্যার আতঙ্কের অবসান হতে চলেছে এলাকাবাসীদের । রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সেচ দফতরের দেখাশোনায় মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করে নদী পাড় বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে । নদী পাড় বাঁধার কাজে নিযুক্ত হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নদী পাড় বাঁধার বিশেষজ্ঞ কারিগর দিয়ে । দিনরাত এক করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে অজয় নদীর পাড় বাঁধার কাজ । এই নদী পাড় বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের পান শিউলি নদীঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার মাধাইপুর নদীর ঘাট পর্যন্ত ।
এই বিষয়ে গোগলা অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ জানান ,গতবারের বন্যায় পান শিউলি গ্রামের শ্মশানঘাটের বেশ কিছু অংশ বন্যার জলে তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেখানে একটা খেলার মাঠ । তাই মাননীয় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জীর উদ্যোগেই শুরু হয়েছে এই নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ । এ বিষয়ে দুর্গাপুর সদ্য ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জি জানান ,গতবারের বন্যায় আমরা স্বচক্ষে এলাকা পরিদর্শনে এসে দেখি এবং তখন উপলব্ধি করি শীঘ্রই যদি নদীর পাড় বাঁধানো না যায় তাহলে বন্যায় সমগ্র গ্রাম ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । সেই মুহূর্তে মাননীয় বিধায়কের সাথে কথা বলে কৃষি ও সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে নদী পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে সরকারি ব্যয়ে । পান শিউলি গ্রামের এক বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, প্রত্যেকবারের বন্যায় আতঙ্কে দিন কাটত তাদের । কিন্তু সরকারের এই উদ্যোগে আতঙ্কের দিন আর থাকবে না এমনটাই মনে করছেন তাঁরা । গ্রামবাসীরা এই বিষয়ে সরকার তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জী ও গুগলা অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষের প্রশংসা করছেন । গ্রামবাসীদের আশা আগামী বর্ষার আগেই নদীর পাড় সম্পূর্ণভাবে বাঁধা হয়ে যাবে এবং নদীর বন্যা থেকে রক্ষা পাবে গ্রাম ।