আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তৎপরতায় ধরা পড়ল চুরির গ্যাং

author-image
Harmeet
New Update
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তৎপরতায় ধরা পড়ল চুরির গ্যাং


হরি ঘোষ: আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে শ্রীপুর ফাঁড়িতে আজ এসিপি সেন্ট্রাল-২ শ্রীমন্ত ব্যানার্জির নেতৃত্বে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সম্মেলনে শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি শেখ রিয়াজূদ্দীন, সুশান্ত চ্যাটার্জি, জামুরিয়া থানার ইনচার্জ রাহুল দেব মণ্ডল, নিমচা ফাঁড়ির আইসি রঞ্জিত বিশ্বাস, মুকুল ব্যানার্জী সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের শ্রীমন্ত ব্যানার্জী জানান, গত মাসের প্রথম সপ্তাহে এক দম্পতি বাইকে করে জামুরিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। 

your image

হঠাৎ করে ১ টি পালসারে ৩ জন বাইক আরোহী এসে বাইকের পেছনে বসা মহিলার হাত থেকে মূল্যবান আইফোন ছিনিয়ে নিয়ে জামুরিয়ার দিকে চলে যান। তারা দ্রুত গতিতে চলে যান। তিনি বলেন, এই ঘটনায় ওই দম্পতি এতটাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে তারা কিছুই বলতে পারেননি এবং অপরাধীরা এত চতুরভাবে বাইকের নম্বর লুকিয়ে রেখেছিল যে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরায়ও বাইকের নম্বর দেখা যায়নি।

your image

 নিমচা ফাঁড়ির আইসি, জামুরিয়া থানার ইনচার্জ এবং এই সব থানার ইনচার্জ ও পুলিশ কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসব অপরাধীদের খোঁজ-খবর নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হলে দেখা যায় প্রতি শুক্রবার দুপুর আড়াইটার পর এইসব অপরাধ করা হয়। অপরাধীদের ধরতে ফাঁদ পাতা হয়। তবে এরপরেও ২৫ নভেম্বর এই অপরাধীরা পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায়। যদিও তারা সেদিনও একটি মটোরোলা ফোন চুরি করেছিল। এরপর নিঘা এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হলে জেকে নগরের লাইন পার এলাকার বাসিন্দা তৌসিফকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। এসিপি জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তৌসিফ স্বীকার করে আইফোন চুরির ঘটনায় সে জড়িত এবং ওই দিন সে বাইক চালাচ্ছিল। 

your image

তার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ জেকে নগরের লাইনপাড় এলাকার বাসিন্দা রোহিত কয়রা ও সোনু যাদবকে গ্রেফতার করে। ৩ জনকেই ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখন পুলিশ বিষয়টিকে নিয়ে আরও তদন্ত করছে এবং জানতে চাইছে এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত। শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তদন্তকালে পুলিশ আইফোন ও আরও ৩ টি ফোন উদ্ধার করেছে এবং অপরাধীরা যে মোটরসাইকেল চালিয়ে এসব অপরাধ করত তাও উদ্ধার করেছে। তিনি জামুরিয়া থানার ইনচার্জ রাহুলদেব মন্ডল, শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি শেখ রিয়াজূদ্দীন এবং তার পুরো টিমের প্রশংসা করে জানিয়েছেন, তারা দুর্দান্ত কাজ করেছে এবং চোরাই মাল সহ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছে।