নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ ছিল রাজ্যবাসী। চৈত্রের শেষদিকে রাজ্যের তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে বেশ কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে বৈশাখ পড়তেই বদলাচ্ছে আবহাওয়ার ছবি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে শুরু হচ্ছে ঝড়-বৃষ্টি।
/anm-bengali/media/media_files/tSpF7jKkUTRNj6igMTKb.jpg)
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়বে রাজ্যেও। পাশাপাশি দুটি অক্ষরেখার সক্রিয়তাও দেখা যাচ্ছে। একটি রাজস্থান থেকে মান্নার উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত, যা মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর উপর দিয়ে যাচ্ছে। আরেকটি অক্ষরেখা মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত, যার প্রভাব পড়বে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের উপর। এই কারণেই আজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
/anm-bengali/media/post_banners/cbheXth2f6Qg6KEWXbmv.jpg)
আজ বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঝড়বৃষ্টির দাপট আরও কিছুটা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। যদিও তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না, তবে বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। তবে রোদ উঠলেই ফের ফিরে আসবে ভ্যাপসা গরম।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াতেও বদল আসছে। দার্জিলিং থেকে মালদহ—প্রায় সব জেলাতেই আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টির পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
/anm-bengali/media/media_files/btT1spuLHaOfGFKRVMge.jpeg)
এদিকে ওড়িশা, অসম ও মেঘালয়ের কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে। সব মিলিয়ে বৈশাখের শুরুতে রাজ্যে শুরু হয়েছে এক অন্যরকম আবহাওয়া চিত্র—একদিকে বৃষ্টির স্বস্তি, অন্যদিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সতর্কবার্তা। তাই আগামী কয়েকদিন বাইরে বেরোনোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।