নিম্নচাপের জেরে ভারী বর্ষণ! জলের স্তর চাপ বাড়াচ্ছে শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীতে

ফের জল বাড়ায় কেশেডাল গ্রামে শিলাবতী নদীর পাড় ভাঙন নিয়ে নতুন করে ভয় জাগছে কেশেডাল গ্রামের বাসিন্দাদের।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-07-01 at 4.18.16 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: কয়েকদিন আগেই ভয়াবহ বন্যায় চন্দ্রকোনায় ভেঙে গিয়েছে শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর একাধিক বাঁধ। সপ্তাহান্তে ফের নদীর জল বাড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। নদীর জল আরও বাড়লে ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকে ফের প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা চন্দ্রকোনার কেশেডালে নদী ভাঙন এলাকার বাসিন্দাদের। কয়েকদিন আগেই কেশেডাল গ্রামে শিলাবতী নদীর জল বেড়ে নদী ভাঙনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গ্রামের বাসিন্দারাই দিন রাত এক করে নদী ভাঙন আটকাতে সক্ষম হয়েছিল। কেশেডাল গ্রামে শিলাবতী নদীর পাড়ে রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি। বাঁধ ভাঙলে বাড়িঘর তলিয়ে জলে যাবে বন্যার জলে। অপরদিকে,বন্যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেচ দফতরের বাঁধ বাঁধার কাজ। জল কম যেতেই সেই কাজ শুরু হলেও আবারও নদীর জল বাড়ায় কাজ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যে নদীর জলস্তর বাড়ায় তড়িঘড়ি ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক সেরেছেন সেচ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া।

প্রসঙ্গত,গত ৮-১০ দিন আগেই চন্দ্রকোনায় শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর জলস্তর বেড়ে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ভগবন্তপুর ১, ভগবন্তপুর ২ ও বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর ৪-৫ টি নদী বাঁধ ভেঙে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। জলে ডুবে নষ্ট হয় বিঘার পর বিঘা ফসল। চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের জাড়া, মনোহরপুর ১ ও মনোহরপুর ২, এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকটি বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় একাধিক গ্রাম। জলের তলায় চলে গিয়েছিল রাস্তাঘাট। কোথাও জলের বেগে কংক্রিটের ব্রিজের একাংশ ও কাঠের সেতু ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে না দিতেই সপ্তাহান্তে ভারী বর্ষণের জেরে ফের নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় আবারও দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। জানা গেছে, চন্দ্রকোনার ২টি ব্লকে সেচ দফতরের তরফে কয়েকটি বাঁধ বাঁধার কাজ চলছে মাসকয়েক ধরে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২ দিন ঝাড়খণ্ড,পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনাসহ বিভিন্ন জায়গায় মাঝে মধ্যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। সেচ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে জলস্তরের উপর নজর রাখা হচ্ছে। শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর জলস্তর বাড়লেও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

Shilabati River and Its Environments | SpringerLink