বড় আকার ধারণ করেছে জলসঙ্কট! কবে মিটবে সমস্যা?

হিজলগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ ফটিক জানান, অজয় নদীর উপর তৈরি দরবার ডাঙ্গা ওয়াটার রিজার্ভারের জলস্তর কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ ভূগর্ভ থেকে জল উত্তোলনের পাম্প চলছে না। তাছাড়াও পিএইচই যেসমস্ত কর্মী নিয়োগ করেছেন তারা সঠিকভাবে জল বন্টন করছে না।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
hizalgara gm

জল সঙ্কট

হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : পিএইচই এবং কর্পোরেশনের টানা পোড়েনে জামুড়িয়ার হিজলগড়া অঞ্চলে তীব্র জল সঙ্কট। প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দা তীব্র জল সঙ্কটে ভুগছেন। পুকুর ও কুয়োর জল ব্যবহার করার ফলে বাড়ছে জল বাহিত নানান রোগ। আইসিডিএস কর্মীদের ব্যবহার করতে হচ্ছে পুকুরের অপরিষ্কার জল।জামুড়িয়া বিধান সভার হিজলগড়া গ্রামের বাসিন্দারা ১০ মে পুরনো হাটতলায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত চার বছর ধরে জলের সঙ্কট রয়েছে এলাকায়। অনিয়মিতভাবে পিএইচই জল সরবরাহ করা হতো। কিন্তু গত ১৫ দিন একেবারে জল আসেনি। যার ফলে চরম জলসঙ্কটে পড়েছেন গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। তাছাড়াও এলাকায় রয়েছে প্রায় দশটি আইসিডিএস সেন্টার। তার মধ্যে ৯ টি আইসিডিএস সেন্টারে একেবারে জল না থাকার জন্য রান্না থেকে শুরু করে শিশুদের পানীয় জল দিতে পারছেন না আইসিডিএস কর্মীরা। গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে জল এনে এতদিন তারা বাচ্চাদের রান্না করে খাইয়েছেন। কিন্তু সেই সমস্ত বাসিন্দাদের ঘরেও জল না থাকায় তারাও জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

 এই তীব্র গরমে জলের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। স্থানীয় শেখ রাখাল অভিযোগ করেন, অজয় নদী থেকে পিএইচই জল সরবরাহ করা হয় কিন্তু হিজলগড়া গ্রামের আগেই পাথরচুড় সহ একাধিক গ্রামের কিছু মানুষ জলের মেন লাইন ফাটিয়ে চাষাবাদ করছেন। যার ফলে তাদের এলাকায় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

হিজলগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ ফটিক জানান, অজয় নদীর উপর তৈরি দরবার ডাঙ্গা ওয়াটার রিজার্ভারের জলস্তর কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ ভূগর্ভ থেকে জল উত্তোলনের পাম্প চলছে না। তাছাড়াও পিএইচই যেসমস্ত কর্মী নিয়োগ করেছেন তারা সঠিকভাবে জল বন্টন করছে না। দরবারডাঙ্গা রিজার্ভার থেকে যে জল সরবরাহ করা হয় তার ৭০ শতাংশ জল সরবরাহ করা হয় কর্পোরেশন এলাকায়। এবং ৩০ শতাংশ জল জল সরবরাহ করা হয় গ্রামীণ এলাকায়। জলস্তর নিচে নেমে যাওয়া তাদের অংশের ৩০ শতাংশ জল সঠিকভাবে সরবরাহ হচ্ছে না। তাছাড়াও পিএইচই দফতরের পক্ষ থেকে যে সমস্ত কর্মীদের জল বন্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা সঠিকভাবে কাজ করছে না।যার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জামুরিয়া সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অরুনালোক ঘোষ জনান, পিএইচই দফতরের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। পি এইচ ই দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত রায় জানান, তাদের এই জল প্রকল্পটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে চলছে। যার ফলে গ্রামীণ এলাকায় জল সরবরাহ করতে তাদের একটু সমস্যা হচ্ছে। গ্রামীন এলাকায় আলাদাভাবে জল সরবরাহ করার জন্য তারা নতুনভাবে প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। দ্রুত সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে।