/anm-bengali/media/media_files/2025/05/06/Cq2p4DpEs0G9sDQQDGcS.jpeg)
হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : দুর্গাপুর নগর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড কোর্ট মোড়ে গড়ে উঠছে বহুতল। সেখানেই বিশাল কুয়ো খনন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে একাধিক সাবমার্সিবল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কুয়ো খননের পরেই এলাকার সরকারি কুয়োগুলি থেকে জলস্তর নামতে শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদহে চরম জল সংকট শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগ, বিনা অনুমতিতেই এত বড় কুয়ো খনন করেছে এই বহুতল সংস্থা। দ্রুত এই কুয়ো বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাটার হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
বিক্ষোভকারী রুমা দে অভিযোগ করেন, "ছোট থেকে এত বড় হয়েছি কিন্তু কোনওদিন এত বড় কুয়ো দেখিনি। আর এত বড় কুয়ো খনন করা হল কার অনুমতি নিয়ে সেটাও আমাদের অজানা। আমরা নগর নিগমে যাব না, প্রয়োজন হলে নগর নিগমের আধিকারিকরা এখানে আসবেন। দ্রুত এলাকায় পানীয় জলের পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব"। কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এত বড় কুয়ো খনন করা হল কার অনুমতি নিয়ে? এলাকার মানুষদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কিসের জন্য? আর পুলিশের আধিকারিক বলছেন যে নগর নিগমের অনুমতি ছাড়া কোনও কাজ হয়নি। তাহলে নগর নিগম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এলাকায় পানীয় জলের পরিষেবা স্বাভাবিক করুক"। সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার শশীভূষণ রায় বলেন, "কোনরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি নগর নিগমের কাছে। তবে আমরা নগর নিগমের সাথে কথা বলব। কুয়ো বন্ধের ব্যাপারেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি"। দুর্গাপুর থানার ফরিদপুর ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর বিক্ষোভকারীদের বলেন, "যেখানে অভিযোগ জানানোর সেখানে জানান। নগর নিগমের অনুমতি ছাড়া তো কিছু হয়নি। যদি নগর নিগম অনুমতি না দিয়ে থাকে তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে"। এদিকে নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি বলেন, "জলের সংকট হলে এলাকাবাসীরা তো বিক্ষোভ দেখাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই কুয়ো খননের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। নগর নিগমের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে"।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/06/Qbf7qKp59W4z3Erh4us0.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us