পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের ময়দানে সম্মুখ সমরে দুই জা

আসন্ন ৮ জুলাইয়ে হওয়া পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে রাজনৈতিক তাপ উত্তাপ বাড়ছে বঙ্গে। ইতিমধ্যে প্রচার চালাচ্ছেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। সেইসঙ্গে জোরকদমে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজও।

author-image
SWETA MITRA
New Update
cover দুই জা.jpg

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ এলাকায় চর্চা এখন দুই প্রার্থীকে নিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মনসুকা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপির (BJP) হয়ে ভোট ময়দানে প্রার্থী একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। রায় পরিবারের বড় বউ ছায়া রায় ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে লড়ছেন আর ছোট জা প্রিয়া রায় প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর প্রথম দিকে সেভাবে প্রচারে নামতে না পারলেও দলীয় প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই জোর কদমে ময়দানে নেমে পড়েছেন দুই গৃহবধূ। দুই প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখন এবং দলীয় পতাকা লাগানোর কাজ চলছে জোরকদমে। ভোটের রণভূমিতে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ তাঁরা। তবে সারাদিন ভোট প্রচার শেষে সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে দুই গৃহবধূ একেবারে পারিবারিক ছন্দে মেতে ওঠেন। হাসি ঠাট্টা থেকে শুরু করে বাড়ির কাজকর্ম সবই চলছে একই সাথে।


এবারের তৃণমূল প্রার্থী প্রিয়া রায় বলেন, ‘রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় আর পারিবারিক সম্পর্ক পারিবারিক আঙ্গিনাতে থাকাটাই ভালো। আমরা সেগুলো কখনোই গুলিয়ে ফেলছি না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে প্রবল উন্নয়ন মানুষ দেখেছে তাতে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত জয় তৃণমূল কংগ্রেসেরই হবে।‘ 


অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে প্রার্থী ছায়ার বক্তব্য, ‘আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি এলাকার যা সমস্যা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরে। মানুষের কাছ থেকে প্রবল সাড়া পাচ্ছি। এবার এলাকায় পদ্ম ফুটবে, এমনটা আশাবাদী আমরা। তবে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে আমরা বলব রাজনীতি করুন সুস্থ ভাবে। এখানে হিংসার পরিবেশ যাতে তৈরি না হয় সেই আবেদন থাকবে সবার জন্য।‘ 


প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনসুকা দুই নম্বরের ৯ টি আসনই ছিল তৃণমূলের দখলে। বিধানসভা নির্বাচনে মনসুকা এলাকায় পদ্ম শিবির প্রবল ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতগুলি জায়গায় পদ্ম ফুটবে  সেটাই বড় প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের কাছে। অন্যদিকে গতবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলেও এবারে অধিকাংশ আসনেই কিন্তু লড়াই হবে ত্রিমুখী। লড়াইয়ের জমিটা আগের মতো যে আর সহজ নয় তা মানছে শাসকদলও। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা তৃণমূলের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।