বাম প্রার্থীকে নিয়ে টানাটানি তৃণমূল-বিজেপির!

পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে। রেজাল্টও জানা হয়ে গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল কে করবে বোর্ড গঠন? এখনও ঘোড়া কেনাবেচার ছক! বাম প্রার্থীকে নিয়ে চলছে টালবাহানা! বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের দলে টানতে চাওয়ার অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরে ব্যাপক নাটকীয়তা।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
১১২৩

 দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর :  ভোটের ফলাফলে পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু। ১৫ টি আসন বিশিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল-৭টি, বিজেপি-৭টি এবং সিপিএম জিতেছে ১টি আসনে।পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে আশবাদী তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরই।পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া দু-পক্ষই। সিপিএমের জয়ী প্রার্থীকে দলে টানতে ময়দানে নেমে পড়েছে দুই দলই।তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলেরই দাবি,বোর্ড গঠন করবো আমরাই!বিরোধী শিবিরের জয়ী প্রার্থীরা আত্মগোপন করে রয়েছে শাসকদলের চাপে, এমনই অভিযোগ।এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে।এখন দেখার শেষমেশ বোর্ড গঠন কে করে।

123dd


ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে চন্দ্রকোনা দক্ষিন মন্ডল বিজেপির সভাপতি বিপ্লব মাল এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে কথা হয়ে গেছে।তারা আমাদের সমর্থন করবে বোর্ড গঠনে। এমন বার্তা ইতিমধ্যেই এসেছে সিপিএমের পক্ষ থেকে। বান্দিপুর এলাকার মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন।আমরাই বোর্ডগঠন করবো এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।''


bjp law.jpg

বিজেপির দাবি,তাদের জয়ী প্রার্থীদের নানা ভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছে শাসকদল,ভয় দেখাচ্ছে। তবে তাদের দলের কেউ তৃণমূলে যোগ দেবে না। বিজেপির মন্ডল সভাপতি আরও বলেন, তৃণমূলের কয়েকজন জেতা প্রার্থীও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। অপরদিকে,  চন্দ্রকোনা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন,‘গোটা রাজ্যে সবুজ ঝড় বইছে, চন্দ্রকোনা তার ব্যতিক্রম নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্বার্থে অনেকেই তৃণমূলকে সমর্থন করতে আসবেন,অপেক্ষা করুন। দেখুন বোর্ড গঠন কে করে। সময় হলে সবই বুঝতে পারবেন।তবে তৃণমূল কংগ্রেস গরীব দল,টাকা পয়সা দিয়ে কাউকে কেনার পরিস্থিতি আমাদের নেই,আর তা করতেও হবেনা।’ সিপিএম অবশ্য তৃণমূল ও বিজেপি দুই দল থেকেই সমান দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে।সিপিএমের একমাত্র জয়ী প্রার্থীকে নিয়ে টানা হেঁচড়া হবে জেনে প্রার্থীকেই সরিয়ে দিয়েছে অন্যত্র।এবিষয়ে চন্দ্রকেনার সিপিএম নেতা সুস্মিত পাল বলেন, ‘সাধারণ অঙ্কের সমীকরণে যা বলে তাতে সিপিএমই নির্নায়ক শক্তি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে।তবে আমরা বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলের থেকেই সম দূরত্ব বজায় রাখবো। আমাদের শিরদাঁড়া সোজা আছে,আমাদের প্রার্থীরও শিরদাঁড়া সোজা আছে। তাকে কেনা যাবে না।’


cpim katwa.jpg


উল্লেখ্য,চন্দ্রকোনা বিধানসভায় মোট দুটি ব্লক,দুটি ব্লকে ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১১ টি,৩৬ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে সবকটিই তৃণমূল জয়ী এবং ৪ টি জেলা পরিষদ আসনও তৃণমূলের দখলে।এমতবস্থায় একমাত্র চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হওয়ায় এই গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রেখে বিরোধী শুন্য করতে মরিয়া শাসকদল।অপরদিকে বিজেপিও আসরে নেমেছে এই গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের দখলে আনতে,আর একটি আসনে জিতে সিপিএম কি ভূমিকা নেয় সেদিকে নজর সকলে।নিজেদের জয়ী প্রার্থীদের ধরে রাখতে পারবে কিনা বিজেপি সিপিএম এখন সেটাই বড় প্রশ্ন।