/anm-bengali/media/media_files/2025/06/03/Jwjl0AOimVOFDL86Alzn.jpeg)
হরি ঘোষ, কাঁকসা: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনে দিনমজুর আদিবাসী মহিলা। নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী কাঁকসার মানুষ।
অনেক চেষ্টা করেও পৌঁছয়নি অ্যাম্বুলেন্স। চিকিৎসার অভাবে ২০২৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছিল আদিবাসী যুবক সুনীল মুর্মুকে। চিকিৎসার অভাবে এইরকম ঘটনার সাক্ষী যাতে কাউকে হতে না হয় সেই জন্য উদ্যোগী হয়েছিল এলাকার যুবক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ডাকে সাড়া দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং প্রাক্তন সাংসদ। দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহা এলাকায় চিকিৎসার অভাবে মৃত যুবকের মায়ের হাত ধরেই উদ্বোধন করা হল দুটি অ্যাম্বুলেন্সের। ভবিষ্যতে কোনও মাকে যাতে চিকিৎসার অভাবে সন্তানকে হারাতে না হয় সেই অঙ্গীকারও নেওয়া হল। কাঁকসার জঙ্গলমহল এলাকায় রাতবিরেতে কেউ অসুস্থ হলে গাড়ির অভাবে হাসপাতালে যেতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। অনেককে মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়তে হয়। এইসব ঘটনা যাতে না হয় সেইজন্য বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রাক্তন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া তহবিল থেকে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স দেন। মঙ্গলবার দুপুরে কুলডিহা এলাকায় এই দুটি অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন হয়। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার উপস্থিতিতে পতাকা দেখিয়ে এই অ্যাম্বুলেন্স দুটির উদ্বোধন করেন ২০২৪ সালে চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারানো যুবকের মা মনি মুর্মু। উদ্বোধন করেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মনিদেবী। জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পঞ্চায়েতের একটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। সেই অ্যাম্বুলেন্স কোনওদিন মানুষের কাজে লাগে না। ২০২৪ সালে আমাদের এলাকার আদিবাসী যুবক সুনীল মুর্মুকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এই দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে উপকৃত হবে আদিবাসী অধ্যুষিত গোটা এলাকার মানুষ"। বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, "আমরা প্রতি মুহূর্তে মানুষের সেবায় নিয়োজিত। এই পরিষেবার মাধ্যমে উপকৃত হবে গোটা এলাকার মানুষ"।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/05/Ufadah1Lvcad4hck5iW7.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us