কোলিয়ারিকে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভ

পাণ্ডবেশ্বরের ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়ার তিলাবনী কোলিয়ারির খুব শীঘ্রই বেসরকারিকরণ হতে চলেছে।  শুরু হতে চলেছে মাইন ডেভেলপার অ্যান্ড অপারেটরের ব্যবস্থা। মঙ্গলবার ইসিএলের তিলাবনী কোলিয়ারিতে MDO-র কাজ শুরু করতে আসে বেসরকারি সংস্থা ।

author-image
SWETA MITRA
New Update
pando.jpg

 

হরি ঘোষ, পাণ্ডবেশ্বর : পাণ্ডবেশ্বরের ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়ার তিলাবনী কোলিয়ারির খুব শীঘ্রই বেসরকারিকরণ হতে চলেছে।  শুরু হতে চলেছে মাইন ডেভেলপার অ্যান্ড অপারেটরের ব্যবস্থা। মঙ্গলবার ইসিএলের তিলাবনী কোলিয়ারিতে MDO-র কাজ শুরু করতে আসে বেসরকারি সংস্থা । তবে কাজ শুরুর ঠিক আগেই খনির সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের বাধা পেয়ে কাজ করতে না পেরে এলাকা ছাড়ে বেসরকারি সংস্থা।  শ্রমিক সংগঠন এইচএমএস এর বাঁকোলা এরিয়া সেক্রেটারি মিন্টু ব্যানার্জি বলেন, 'কোলিয়ারি বেসরকারিকরণ হলে শুধু কোলিয়ারির শ্রমিক নয়, কোলিয়ারি তথা আশেপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষ রুজি রুটি হারিয়ে বিপদে পড়বেন।' এই দিনের শ্রমিক সংগঠনগুলির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন কে কে এসসি, আইএনটিটিইউসির বাঁকোলা এরিয়া সভাপতি বলাই ব্যানার্জি। ছিলেন আইএনটিইউসির নেতা কৃষ্ণ রায় প্রমুখ। এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বলাই বাবুর বক্তব্য, তারা চান কোলিয়ারির সমস্ত শ্রমিক সংগঠন এবং আশেপাশের গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে ইসিএল-এর এই ধরনের বেসরকারিকরণের মনোভাবের প্রতিবাদে গর্জে উঠুক। কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিলাবনী কোলিয়ারির অফিসার নিয়ে মোট শ্রমিক সংখ্যা ৮০০ এবং এই কোলিয়ারির উৎপাদন প্রত্যেকদিন ৪০০ টন কয়লা। কিন্তু ইসিএল কর্তৃপক্ষ এই কোলিয়ারিকে "মাইন ডেভলপার অ্যান্ড অপারেটর"-এর পদ্ধতিতে বেসরকারিকরণ করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা কোলিয়ারি শ্রমিক ছাড়াও এলাকার মানুষের পক্ষে বিপদজনক। এই কোলিয়ারির পাশের গ্রাম কুমারডিহি, সেই গ্রামের এক বাসিন্দা তথা ছোট্ট ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ কর্মকার জানান, 'যে পদ্ধতিতে কোলিয়ারি চলছে তাতে এই এলাকার আয়ু দীর্ঘদিন থাকার কথা। আর তাতে এলাকায় যেমন ব্যবসা থাকবে, মানুষজনও থাকবে। তবে বেসরকারিকরণ হলে এলাকার আয়ু কমে যাবে, মারা যাবে ব্যবসা । যারা ইসিএল কর্মী তারা অন্যত্র হয়তো বদলিতে যাবেন। সমস্যা তাদের হলেও খুব একটা চরম আর্থিক সংকটে পড়বেন না। আর্থিক সংকটে পড়বে কোলিয়ারি তৎসহ গ্রামগুলির হাজার হাজার খেটে খাওয়া মানুষজন। কেননা কোলিয়ারি ভিত্তিক এই গ্রামগুলির ব্যবসায়িক জীবন।'  কোলিয়ারি না থাকলে ব্যবসাও থাকবে না, এলাকা শ্মশানে পরিণত হবে। সেই সময় কী হবে এটা ভেবেই আতঙ্কিত তারা বলে জানান।