ঝড়ের দাপটে ভাঙল মন্দির, দুটি লরির মধ্যে সংঘর্ষ

মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা এলাকায় পুরনো একটি বটগাছ ভেঙে পড়ে যায় জনপ্রিয় বজরংবলী মন্দিরের ওপরে। পুরো মন্দিরটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

author-image
Pritam Santra
আপডেট করা হয়েছে
New Update
thunderstorm

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শুক্রবার বিকেলে আধ ঘন্টার ঝড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে লণ্ডভণ্ড বিভিন্ন জায়গা। সব থেকে বেশি ক্ষতি মেদিনীপুর শহরেই। শহরের ভেতরে ভেঙে পড়ল একের পর এক পুরোনো গাছ। হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে যায়। মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সারারাত কাজ করতে হবে। মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা এলাকায় পুরনো একটি বটগাছ ভেঙে পড়ে যায় জনপ্রিয় বজরংবলী মন্দিরের ওপরে। পুরো মন্দিরটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত মাইতি জানিয়েছেন, "বটগাছটি আশি বছরের বেশি পুরনো। মন্দিরটিও কুড়ি বছরের বেশি পুরনো। দুটো একসঙ্গে শেষ হয়ে গেল।"

thunderstorm

মেদিনীপুর শহরের পদ্মাবতী শ্মশানের বিশাল উঁচু চিমনিটি ভেঙে পড়ে যায়। সৌভাগ্যবশত পাশাপাশি বাড়ির কারো ক্ষতি না হলেও চিমনির মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। শহরের কালেক্টরেট মোড়, হাসপাতাল রোড , বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় বহু পুরনো গাছ ভেঙে পড়েছে। বেশিরভাগ স্থানে বিদ্যুৎ লাইন ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এর জেরে শুক্রবার বিকেলের পর থেকেই বিদ্যুৎহীন মেদিনীপুর শহরের বেশিরভাগ এলাকা। প্রচন্ড ঝড়ের সময় জঙ্গলের রাস্তা থেকে গরু পিচ রাস্তায় উঠে যাওয়ায় ধেড়ুয়া রুটে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় গরু এসে যাওয়ায় একটি লরি দ্রুত ব্রেক কষেছিল। পেছনে ছিল রেশন সামগ্রী ভর্তি একটি লরি। লরি দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ চালককে উদ্ধার করে ভর্তি করেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, "শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই বিভ্রাট হয়েছে গাছ পড়ে। সারারাত কাজ করতে হবে কর্মীদের।"