ঝাড়গ্রামের পর মেদিনীপুরে হাতিদের উপর হুলা টিমের আগুন ছোঁড়ার ভিডিও ভাইরাল, মামলা রুজু বনদফতরের

সমালোচনার ঝড়।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-09-01 at 6.19.47 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি পশ্চিম মেদিনীপুর: হাতির দল পারাপারের সময় একের পর এক আগুনের হুলা ছোঁড়া হচ্ছে হাতিদের উপর। এমনই ভিডিও দেখে শিউরে উঠছেন মানুষজন। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবিও উঠছে। হুলার আঘাতে গত বছর আগস্ট মাসে ঝাড়গ্রামে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছিল বনদফতর। তারপর থেকে আগুনের হুলা ব্যবহার নিয়ে বনদফতরে একাধিক বৈঠক হয়েছিল। কোনো ভাবেই হাতিকে লক্ষ্য করে হুলা যাতে না ছোঁড়া হয় সে দিকটিও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এলাকায় একের পর এক আগুনের হুলা ছোঁড়া হচ্ছে হাতিদের লক্ষ্য করে। সেই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মাধ্যমে। রূপ নারায়ন বন বিভাগের ডিএফও শিবানন্দ রাম জানিয়েছেন যে এটা সম্ভবত গত ২৯ আগস্ট আমলাগোড়া রেঞ্জের গনগনি এলাকার ঘটনা। আমরা দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি এবং মামলা করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২৫ টি হাতির একটি দল মেদিনীপুর বন বিভাগ থেকে রূপ নারায়ণ বন বিভাগ হয়ে বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেই সময় গড়বেতার গনগনি এলাকায়  হুলা টিম একের পর এক আগুনের হুলা নিক্ষেপ করে হাতিদের উপর। ওই দলে হস্তি শাবকও ছিল। ওই ভিডিও ঘিরে বনদফতরের বিরুদ্ধে উঠছে প্রশ্ন। এলাকায় হাতি প্রবেশে বনদফতরের ভূমিকা কি ছিল? হাতির যাতায়াতের পথে বাধা না দেওয়া, এমনকি আগুনের হুলা না ছোঁড়ার কোনো মাইকিং বা সতর্কবার্তা দিয়েছিল বনদফতর? আমলাগোড়া রেঞ্জ আধিকারিককে ফোন করা হলেও তিনি ফোনের উত্তর দেননি। তবে বনদফতরের দাবি, স্থানীয় মানুষজন ওই আগুনের হুলা ছুঁড়েছিল। পাল্টা স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকায় হাতি নিয়মিত যায় না। ফলে বাড়িতে হুলাও থাকে না গ্রামবাসীদের। বনদফতরের ভাড়া করা হুলা টিমের লোকজন আগুন ছুঁড়েছিল। ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, "আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতে 'পিওআর' (আইনি পদক্ষেপ) দায়ের করেছি"।

WhatsApp Image 2025-09-01 at 6.19.46 PM