পুলিশ দুষ্কৃতীদের গায়ে হাত দিতে ভয় পায়! অশান্তির ঘটনায় তোপ দিলীপের

পঞ্চায়েতের মনোনয়নকে ঘিরে শেষ দিনেও তুমুল অশান্তি। ঝরলো রক্ত। গুলি চললো চোপড়ায়। নির্বাচন নিয়ে পুলিশকে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। একহাত নিলেন শাসকদলকেও।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
১২

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছে এক কংগ্রেস কর্মী। তারপর মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই ব্যাপক আকার ধারণ করে অশান্তির ঘটনা। মনোননয়নের শেষ দিনেও জারি রয়েছে অশান্তি। জেলায় জেলায় বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রাজ্যে ক্রম বর্ধমান অশান্তির ঘটনায় পুলিশকে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''<সারা বছর বোমা-গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়ায়।  তারাই রাজনীতির নিয়ন্ত্রক। পুলিশ তাদের গায়ে হাত দেয় না। খুনের ঘটনায় কোনো এফআইআর হয় না। চার্জশিট হয় না। কেস হয় না।  দুষ্কৃতীরাই ভোট করাচ্ছে, নমিনেশন করাচ্ছে। পুলিশ এদের গায়ে হাত দিতে ভয় পায়''।



মনোননয়নের শুরুর পর্ব থেকেই এগিয়ে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''যে জায়গায় নমিনেশন করার ছিল বিজেপি করেছে। যে সমস্ত জায়গাগুলো সন্ত্রাসপ্রবণ যেমন বসিরহাট, ভাঙড়, ফলতায় একজন কোনও বিরোধীকে নমিনেশন ফাইল করতে দেওয়া হয়নি। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ কোচবিহার, মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা গুলোতে সব সময় গণ্ডগোল হয়, এখনও হচ্ছে। বিরোধীদের নমিনেশন ফাইল করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।তা না হলে আমাদের প্রায় ৬০ হাজারের কাছাকাছি নমিনেশন হয়ে যেত। সেখানে ৪৬ হাজার ৪৭ হাজারে আটকে গিয়েছে।'' মনোনয়নের আজই শেষ দিন। বিনা বাধায় নমিনেশন হলে  ২ লাখ মনোনয়ন পেরিয়ে যেত বলে মন্তব্য করেন খড়গপুরের সাংসদ।  এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততোই যেন দলবদলের হিড়িক  বাড়ছে। এই নিয়ে বিজেপি নেতার মত, ''এই জন্য আগে থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বলেছিল ঘোষণা করবে।কিন্তু ঘোষণা করার পর থেকেই পথ ছাড়া, দল ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ থেকে আবার নির্দল হিসেবে অনেক লোক নমিনেশন করবেন।''



 যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শুরু হয়েছিল তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা তা শেষের পথে। অন্তিম যাত্রায় ফের এক হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, “উনি সবসময় গিয়েছেন। যেখানে একটু কমজোর হয়েছে দল, সেখানেই গিয়েছেন। মালদায় গিয়েছেন, মেদিনীপুরে গিয়েছেন। স্বাভাবিক, হাত ধরে একটু শেখাতে হবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতটা। কেউ যদি শেখে ভালো, ডায়াসের নেতা হয়ে গেলেই সমস্যা”।