নারী পাচারের ঘটনায় উল্লেখযোগ্য রায়দান আদালতের

পুলিশ মামলায় চার্জশিট দাখিল করে আদালতে।

author-image
Adrita
New Update
দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ নারী পাচারের ঘটনায় উল্লেখ যোগ্য রায় শোনাল ঝাড়গ্রাম  আদালত। রাজ্যে সহ দেশের মধ্যে নারী পাচার মামলায় এত দ্রুত সাজা ঘোষনা সাম্ভাব্য প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে। কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন রাজ্যে পাচার করে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগে অভিযুক্ত এক মহিলা সহ মোট ছয় জনকে বিচার পক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ১০ বছরের সশ্রম করাদন্ড এবং নারী পাচার, জুভেনাইল অ্যাক্ট সহ মোট ৮ টি ধারায় অভিযুক্ত দের মাথা ৫০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে আদালত। ঝাড়গ্রামের  প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত ছয় জনকে দোষী সাব্যস্থ করে।ওই ছয় জনের সাজা ঘোষণা আদালত। 

সাজা প্রাপ্ত আসামী হল বুধু মুর্মু। বাড়ি খড়গপুরের ভুরখুন্ডি গ্রামে। মদন মান্ডি। বাড়ি নয়াগ্রাম থানার নেগুই গ্রামে। আবদুল সা। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা তে। প্রিয়াঙ্কা দেহুরী। বাড়ি এগরা থানার শ্যামসুন্দরপুরে। সুনীল হাঁসদা।বাড়ি এগরা থানার সাবিরপুকুর গ্রামে। গজেন্দ্র সিং বাড়ি এগরা থানার আদলবাদ গ্রামে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে নয়াগ্রাম থানা এলাকার এক মহিলা থানায় অভিযোগ করেনে তার নাবালিকা মেয়ে সহ কয়েক জন মহিলাকে এগরাতে কাজ করতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ভিন রাজ্যে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে। পুলিশ তাদের তদন্তে জানতে পারে বিশেষ ধরনের চুলের ছাট আছে এমন এক যুবক এই পুরো চক্রের অন্যতম অভিযুক্ত। এরপর পুলিশ নয়াগ্রাম সহ পাশের জেলার বিভিন্ন চুল কাটার দোকান গুলিতে তদন্ত চালিয়ে অন্যতম অভিযুক্ত বুধু মুর্মুকে সনাক্ত করে। এরপর অপহৃত নাবালিকার ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করে ২৩ সেপ্টম্বর ২০২২ এ রাজস্থানের যোধপুর গ্রামীন জেলার বিলাড়া থানার মালকোশিন এলাকা থেকে বুধুকে গ্রেফতার করে এবং নাবালিকা সহ তিনজনকে মহিলাকে উদ্ধার করে। এর পর ওই অভিযুক্তকে জেরা করে বাকি এক মহিলা সহ পাঁচজন অভিযুক্তকে  নয়াগ্রাম এবং এগরা থানা এলাকা থেকে পর্যাক্রমে গ্রেফতার করে। এক জন এখনো পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্র মেয়েদের কাজ দেওয়ার নাম করে বিক্রি করে দিত এবং দেহ ব্যবসায় তাদের নামানো হতো। এদের লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হত।

পুলিশ এই মামলায় ২১.০১.২০২৩ তারিখে চার্জশিট দাখিল করে আদালতে। ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে চার্জ গঠন হয়। তিন পুলিশ কর্মী সহ মোট ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত। জানা গিয়েছে, বিচার চলা কালিন কোন সাক্ষী বিরূপ হয়নি। চার্জ গঠন হওয়ার মাত্র পঞ্চাশ দিনের মধ্যে পুরো বিচার পক্রিয়া শেষ হয় এবং সাজা ঘোষণা করে আদালত। যা কিনা দেশের মধ্যে বেনজির বলে মনে করা হচ্ছে।পাবলিক প্রসিকিউটর দেবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন " চার্জ গঠন হওয়ার মাত্র পঞ্চাশ দিনের মধ্যে নারী পাচারের মতো মামলায় এত দ্রুুত বিচার পক্রিয়া শেষ এবং সাজা ঘোষণা সারা দেশের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে বেনজির। ঝাড়গ্রাম আদালতেও এই মামলা একটা নির্দশন হয়ে রইল। নারী পাচারের মতো ঘৃন্য ঘটনায় দ্রুত সাজা ঘোষনা সমাজের কাছে বার্তা পৌঁছাবে। এই ঘটনা আরো কমবে। পুলিশের এই ক্ষেত্রে ভূমিকা অসাধারণ। যে ভাবে তারা পরপর গ্রেফতার করেছে, সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিয়েছে সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। 

স

স্ব

স