/anm-bengali/media/media_files/2024/10/17/cpjG34F1zww4luLJNlNp.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ বার বার জমির ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মাথায় হাত পড়েছিল। একসময় দেবী লক্ষ্মীর কাছে মানত করেই সুফল মেলে। সেবছর ধানের ফলন বাড়তে শুরু করে। দেবীকে মানত করার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেদিনীপুর সদর ব্লকের গোপগ্রামের পাত্রবাড়িতে ১৯৯২ সালে লক্ষীপুজো শুরু হয়েছিল। এবছরও পুজো ঘিরে পুরো গ্রামে সাজোসাজো রব পড়েছে। এবছর পুজোয় থাকছে কলকাতার চিৎপুরের যাত্রাপালা। যাত্রাপালার পাশাপাশি গ্রামেই মেলা বসে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসতে শুরু করেছেন। প্রায় পাঁচ-ছ'হাজার মানুষের জন্য ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়।
/anm-bengali/media/post_attachments/d3cda0ad-222.png)
পাত্রবাড়ির কর্তা বলাইচন্দ্র পাত্র বলেন, '' চারদিন ধরে পুজো চলে। ঝাড়গ্রাম থেকেও মানুষ ঠাকুর ও মেলা দেখতে আসেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় কলকাতার যাত্রাপালা দেখতে। ১৯৬১ সালে পাত্রবাড়ির প্রায় পাঁচ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। জমিতে ধানের ফলনও কম হচ্ছিল। ধান দেখতে গিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলাইবাবু। তিনি বলেন, সে সময় আমার কানে শঙ্খধ্বনি ভেসে আসে। মনখারাপের মাঝেই এক চাষিকে জিজ্ঞাসা করি, কী পুজো হচ্ছে? সেই চাষি জবাবে বলেন 'লক্ষ্মী মায়ের আরাধনা'। তখন মায়ের উদ্দেশে বলি, ধান সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাকে শক্তি দিন। আমি আপনার পুজো করব। এরপর থেকে আর ধানচাষ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি। ফলন ব্যাপক বেড়ে যায়। ''
/anm-bengali/media/post_attachments/773972ee-e61.png)
১৯৯২ সাল থেকেই এই বাড়িতে লক্ষ্মীপূজো শুরু হয়। বলাইবাবু বলেন, প্রথম বছর থেকেই এই পুজোকে ঘিরে গ্রামের মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। পরবর্তীকালে গ্রামের ভিতরে মন্দির তৈরি করা হয়। সেখানে নিত্যদিন লক্ষ্মীনারায়ণের আরাধনা হয়। পুজোর সময় মেদিনীপুর শহর থেকে লক্ষ্মীপ্রতিমা আনা হয়। এবছর প্রাসাদে গুড় ও চিড়ে দেওয়া হবে।
/anm-bengali/media/post_attachments/033c8362-d1f.png)
পাত্র পরিবারের সদস্য হেমন্তকুমার পাত্র বলেন, পরিবারের সদস্যরা পুজোর সময় আসেন।অপরদিকে একই সঙ্গে বাড়ীর কুলদেবতা মদনমোহনও পূজিত হন।
/anm-bengali/media/media_files/IDr7qHH9jW6HANFJT3iu.png)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us