শিক্ষকের অবসরে তালা পড়েছে স্কুলে, অন্ধকারে ‘আদুরিয়া’ গ্রামের শিশুদের ভবিষ্যৎ!

গড় জঙ্গলের মাঝে রয়েছে ছোট্ট গ্রাম আদুরিয়া।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-03-10 at 20.33.54

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: শিক্ষক অবসর নিতেই ঝাঁপ নামলো স্কুলে! 'আঁধার' নামলো জঙ্গলমহলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে। এটাই হচ্ছে বাংলার পরিস্থিতি, সমালোচনায় বিরোধীরা। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস খোদ মন্ত্রীর। 

কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের একেবারে শেষ প্রান্তে গড় জঙ্গল। আর সেই জঙ্গলের মাঝে রয়েছে ছোট্ট গ্রাম আদুরিয়া। দলিত সম্প্রদায়ের শিশুদের পড়াশুনার জন্য ছিল শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। সেখানে ১৫ জন পড়ুয়াও ছিল। মাসখানেক আগে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকের অবসর হয়। তারপর থেকে শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলের দরজা। চরম সমস্যার মুখে পড়েন অভিভাবকরা। 

প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের রক্ষিতপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় সেইসব পড়ুয়াদের। তবে ছয় কিলোমিটার জঙ্গল পেরিয়ে স্কুলে যাওয়া পড়ুয়ারাদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, গ্রামের সিংহভাগ মানুষ দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। তাই বেশিরভাগ দিন কাজ ছেড়ে বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। পঠন-পাঠন থেকেও বঞ্চিত হয়ে থাকতে হয়। আচমকা এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন তারা। 

fetfhsss

রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কাঁকসার বিডিওর কাছেও তাঁরা শিশু শিক্ষা কেন্দ্র পুনরায় খোলার দাবি তুলেছেন। সুমিত্রা রায়, রাজু সোরেন, সনমনী সোরেনদের অভিযোগ, “শিক্ষক অবসর নিয়েছে সেই দিন থেকে গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে। আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ এখন কি হবে সেই নিয়ে আমরা চিন্তায়”।
যতদিন এই সরকার আছে ততদিন কিছুই হবে না, এমনটাই কটাক্ষ করছেন বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি রমন শর্মা।

এদিকে, রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন গ্রামবাসীদের। তবে কবে শিশুদের ভাগ্য বদলাবে, এখন সেটাই দেখার।

fstcxz