মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভীত! অশান্তি ইস্যুতে খোঁচা শুভেন্দুর

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বিরোধীরা। কেন বিজেপিকে টার্গেট করা হচ্ছে? মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। এক হাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
mamata suvendu.jpg

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবি তুলেছে বিরোধীরা। তার ওপর পুলিশের জায়গায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পরিস্থিতি সামলানো নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। সকালেই সিভিকদের নির্বাচনের কাজে লাগানো নিয়ে লম্বা চওড়া পোস্ট করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেও বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধি দল। এরপর সকাল থেকে বিকেল হতেই ফের আরেকটি লম্বা চওড়া পোস্ট দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে।  মনোনয়নে বাধা দান থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির প্রসঙ্গ টেনে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা  ট্যুইট বার্তায়  লিখেছেন, ''রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘর্ষের খবর আসছে। লাভপুরে মনোনয়নে বাধা সৃষ্টি করেছে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা। আমাদের প্রার্থী ও দলীয় নেতারা গুরুতর আহত হয়েছেন। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।  তারা বিরোধী প্রার্থীদের মারধর করে, যারা মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।একজন তৃণমূল নেতাকে কোমরে  আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে ঘুরে বেরাতে দেখা যায়। হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট একটি ঘটনায় জনগণ, বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর 'লাঠি চার্জ' করতে দেখা যায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। গতকাল বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে ভীত হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীদের গণহারে মিথ্যা ও ফালতু অভিযোগে গ্রেপ্তার করতে। তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া থেকে সীমাবদ্ধ করতে। আমরা প্রতিরোধ করছি এবং আমাদের নিরুৎসাহিত করা যাবে না।''

প্রসঙ্গত, লাভপুরে যেমন বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে শাসকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বীরভূমের নানুর। বীরভূম জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।  অনুব্রতর অনুগামী এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলেরই অপর গোষ্ঠীর নেতাদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।