মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে বনধ। দাবি পূরণে বনধের পথে বনধ সমর্থনকারীরা। ব্যাহত রেল পরিষেবা। ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। দায় কার? শেষ পর্যন্ত বনধের পথে হেঁটে হবে তো দাবি পূরণ?
নিজস্ব প্রতিনিধি : মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে বনধ। খড়গপুর-টাটা সেকশনে ব্যাহত রেল পরিষেবা। চিরুগোদা স্টেশনে ৩০০ বনধ সমর্থনকারী আপ ও ডাউন লাইন অবরোধ করেছে। ঘাটশিলা ঢালভূমগড়ে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সকাল সকাল দুর্ভোগ রেল যাত্রীদের।
৪ জুলাই ঝাড়খণ্ড বনধের ডাক দিয়েছে অলচিকি হুল বাইসি গোষ্ঠী। সাঁওতালি সম্প্রদায়ের উন্নয়নে চার দফা দাবিতে পূর্বেই এদিন বনধের ঘোষণা করে তারা। বনধের আগের দিন জামশেদপুরের সুন্দর নগর থেকে করন্দিহ চক পর্যন্ত একটি মশাল মিছিল হয়। পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন পোদেসা গ্রামের মাঝি বাবা। বনধ সমর্থনকারীদের দাবি, সরকারি ভাষার মর্যাদা দিতে হবে সাঁওতালি ভাষাকে। সেই সঙ্গে একটি পৃথক অ্যাকাডেমির দাবি সহ রয়েছে অলচিকি লিপি থেকে সাঁওতালি ভাষার বই মুদ্রণ ও পাঠ এবং সাঁওতালি শিক্ষকদের পুনর্বহাল করার দাবি।অলচিকি হুল বাইসি গোষ্ঠী ঝাড়খণ্ড সরকারকে তাদের দাবি উপেক্ষা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের সম্পূর্ণ বনধের ডাক দিয়েছে।ঝাড়খণ্ড বনধকে সফল করার জন্য, সমস্ত দোকানদার ও প্রতিষ্ঠানকে তাদের দোকানপাট বন্ধ রাখতে এবং রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।