জঙ্গলমহলের মাটির টান, এবার ধরা পড়বে শোভন-সোহিনীর তথ্যচিত্রে

ক্যামেরাবন্দি হয়েছে ধামসা, মাদল, সারপা ও ভুয়াং নাচের অনন্য সব মুহূর্ত। 

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-07-29 at 18.35.34

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: জঙ্গলমহলের হৃদয়ে এবার সংস্কৃতির সুর বেজে উঠছে। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও 'সারেগামাপা' চ্যাম্পিয়ন শোভন গাঙ্গুলী এবং টলিউডের অভিনেত্রী সোহিনী সরকার একসঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্মাণ করছেন একটি তথ্যচিত্র, যার কেন্দ্রে রয়েছে জঙ্গলমহলের লোকবাদ্য, আদিবাসী নৃত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

সম্প্রতি শোভন ও সোহিনীকে দেখা গিয়েছে ঝাড়গ্রামের শিমুলপাল, বেলপাহাড়ি ও হাতিমারা অঞ্চলে, যেখানে তাঁরা ঘুরে ঘুরে আদিবাসী গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের বাদ্যযন্ত্র, নাচ এবং গান সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। লোক সংস্কৃতির নিবিড় ছোঁয়া পেতে তাঁরা অংশ নিয়েছেন হাতিমারার মেলায়। যেখানে ক্যামেরাবন্দি হয়েছে ধামসা, মাদল, সারপা ও ভুয়াং নাচের অনন্য সব মুহূর্ত। 

শোভন গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, “গান গাওয়ার পেছনে গল্প থাকে, মাটি থাকে। এই মাটির কাছাকাছি আসতেই জঙ্গলমহলের টানে এসেছি"। তাঁর গবেষণার মূল লক্ষ্য লোকবাদ্যযন্ত্রের ছন্দ, গঠন ও বর্ণনার প্রক্রিয়া বোঝা এবং তাদের আধুনিক সুরে মেলানোর সম্ভাবনা খোঁজা। তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। তাঁর কথায়, “এই কাজটা শুধুই ক্যামেরার জন্য নয়। এটা আমাদের এক প্রকার দায়বদ্ধতা। জঙ্গলমহলের সংস্কৃতি যেন হারিয়ে না যায়, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য"।

বেলপাহাড়ি ট্যুরিজমের মুখপাত্র ও গবেষক বিধান দেবনাথ এই প্রসঙ্গে বলেন, “তাঁরা শিমুলপাল-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে বাদ্যযন্ত্রগুলির ব্যবহার, নৃত্যরীতি ও গান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এটা জঙ্গলমহলের সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার এক অসাধারণ প্রচেষ্টা"। 

এই তথ্যচিত্রটি শুধুই বিনোদনের জন্য নয়, বরং এটি গবেষণা, পর্যটন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে এক মূল্যবান দলিল হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন অনেকে। এর মাধ্যমে জঙ্গলমহলের লোকসংগীত ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ বাড়বে, এবং আদিবাসী শিল্পীরা পাবেন তাঁদের প্রাপ্য স্বীকৃতি।