/anm-bengali/media/media_files/2025/05/13/FRcmtXowDz2Ab1EuE051.jpeg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: খড়গপুরের পর এবার উচ্ছেদের নোটিশ মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর শহরে রেলওয়ের জায়গায় বসবাসকারী ৫০০ পরিবারে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদের আশঙ্কায় মাথায় হাত মানুষের। ৭ দিনের মধ্যে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের পক্ষ থেকে।
খড়গপুরের পাশাপাশি মেদিনীপুর রেল স্টেশনকে সাজানো হচ্ছে অমৃত ভারত প্রকল্পে। সেই কাজে নেমে রেলওয়ের জায়গায় থাকা বস্তি উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর শহরে রেলের জায়গায় ৫ শতাধিক বাড়ি হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের রেল স্টেশন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের মানুষজন। এদের অধিকাংশই দিনমজুর। নোটিশের পরই শাসক দলের দ্বারস্থ হয়েছেন বস্তিবাসী। খড়গপুরের ধাঁচে আন্দোলন হবে বলে শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বস্তিবাসীদের। উল্লেখ্য, এর আগে খড়গপুর শহরেও এই রেলের জায়গায় বস্তি উচ্ছেদ ঘিরে আন্দোলনে নামে শাসক দল। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান থেকে কিছুটা পিছু হটেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবার সেই আন্দোলন শুরু হবে মেদিনীপুর শহরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা সহ উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দারাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ দিনমজুরের কাজ করেন, কেউ আবার লরি চালক। কেউ ৩০ বছর, কেউ বা ৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন। নোটিশের পর পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন তা নিয়ে ঘুম উড়েছে তাদের। তাদের দাবি, বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বাসিন্দা হরিশংকর যাদব জানাচ্ছেন, "৪০ বছর ধরে লরি চালকের কাজ করছি। আগে ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। পরে একটি ঝুপড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করি। এই বয়সে কোথায় যাব? সরকার উচ্ছেদ করতে চাইলে আগে পুনর্বাসন দিক"। পিংলার বাসিন্দা দিপালী মাইতি বলেন, "২০ বছর ধরে এখানে ঝুপড়ি বানিয়ে রয়েছি। মেদিনীপুর শহরে একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে ফুটপাতে। স্বামী-সন্তান নিয়ে এবার কোথায় যাব ভাবতে পারছি না"। এই সমস্ত বস্তিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল। তারা ইতিমধ্যে মেদিনীপুর পৌরসভা সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক এবং জনপ্রতিনিধিদের আবেদন জানিয়েছেন, যাতে উচ্ছেদ করার আগে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়।
/anm-bengali/media/post_attachments/place/ED3BTE_1649935597540_1-450298.png)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us