স্কুবা ডাইভিংই কাল হল, আচমকা মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন শিল্পী জুবিন গর্গ

আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই শিল্পী।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
zubeen garg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে অপূরণীয় শূন্যতা রেখে চলে গেলেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটিই বাস্তব। সিঙ্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অসমের এই সঙ্গীতশিল্পী। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২।

যা জানা যাচ্ছে, সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যাল-এ পারফর্ম করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন জুবিন। শুক্রবার অনুষ্ঠানের আগে স্কুবা ডাইভিংয়ে নামেন তিনি। সেখানেই হঠাৎ অচৈতন্য হয়ে সমুদ্রে ভেসে ওঠেন গায়ক। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। কয়েক ঘণ্টা লড়াইয়ের পর আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই শিল্পী।

মেঘালয়ের তুরায় জন্ম জুবিন গর্গের। তিন বছর বয়সেই মায়ের কাছে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। ১৯৯২ সালে পেশাদার শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ। অসমিয়া সিনেমার গণ্ডি পেরিয়ে বাংলা ও হিন্দি গানে তাঁর প্রতিভার ঝলক ছড়িয়েছিল।

zubeen

তবে সঙ্গীতজীবনের পাশাপাশি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মঞ্চে ওঠা এবং ব্যক্তিগত জীবনযাপনের কারণে বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। অনেকেই মনে করেন, অনিয়মিত জীবনযাপনই তাঁর অকাল মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছে।

অহমিয়া, বাংলা ও বলিউড— তিন ক্ষেত্রেই সমান জনপ্রিয় ছিলেন জুবিন। বিশেষত ‘গ্যাংস্টার’ ছবির ‘ইয়া আলি’ গান তাঁকে এক লাফে পৌঁছে দিয়েছিল জাতীয় খ্যাতির আসনে। বাংলা চলচ্চিত্রেও জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুরে তাঁর গাওয়া ‘মন মানে না’, ‘পিয়া রে’ আজও অমর।

অহমিয়া থেকে বাংলা, বলিউড— সর্বত্রই জুবিনের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শিল্পীমহল। ভক্তদের মনে একটাই আক্ষেপ— ঠিক সময়ে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেননি প্রিয় শিল্পী। আর তারই ফল তাঁর আজ এই হঠাৎ চলে যাওয়া।