কাঠালি চিংড়ি মাছ, কচুর মধ্যে এঁচোড় দিয়ে মাটির হাঁড়িতে ভোগ দেওয়া হয় এই কালীকে

সব ধর্মের মিলনক্ষেত্র এই মন্দির, এই মা সবার মা।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-10-16 at 4.40.57 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ইছামতির পারে সংগ্রামপুর কালীবাড়ি প্রায় ৫২৬ বছরের প্রাচীন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বাংলাদেশে বাণিজ্য করতে গিয়ে সংগ্রামপুরে বিশ্রাম নেন আর সেখান থেকেই মাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য উদ্যোগী হন। নিয়ম ও তিথি মেনে পুজো হয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সংগ্রামপুর কালী মন্দিরের সঙ্গে প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে। স্বপ্নাদেশে এক চালা মাটির ঘরে প্রথমে ঘটে পুজো হতো। তারপর প্রতিমা তৈরি হয়।  রাজা সংগ্রাম সিংহের নাম অনুযায়ী সংগ্রামপুর কালীবাড়ির নাম আজও বিখ্যাত। বারো ভূঁইয়ার এক ভূঁইয়া জমিদারদের বাস ছিল সংগ্রামপুরে। প্রায় ৫২৬ বছরের এই মন্দির আজও দুই বাংলা মানুষের কাছে সম্প্রীতির বার্তা বহন করে চলেছে। ওপার বাংলা থেকে প্রচুর ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন কালীপুজোর দিন। ভক্তরা জানাচ্ছেন এখানে আসলে তাদের মনোবাঞ্ছনা পূর্ণ হয়। তাই সেই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই মন্দিরে প্রতিদিন ভক্তদের ঢল নামে। সেবাইত শিবু চক্রবর্তী বলেন যে পুরনো নিয়ম তিথি মেনে আজও মায়ের ভোগ বিতরণ করা হয়। ইছামতি নদীর মৎস্যজীবীদের জালে ওঠা কাঠালি চিংড়ি মাছ, কচুর মধ্যে এঁচোড় দিয়ে মাটির হাঁড়িতে ভোগ রান্না করে নিবেদন দেওয়া হয় কালীকে।

WhatsApp Image 2025-10-16 at 4.41.13 PM