বালি পাচারের মামলায় মিললো টাকার পাহাড়, মেদিনীপুর ও গোপীবল্লভপুর থেকেই উদ্ধার ৯০ লক্ষ টাকা

নিয়মভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠেছে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
money jharkhand.png

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে অনুমোদিত বালি খাদান থেকেই অতিরিক্ত বালি তুলে পাচারের অভিযোগে ফের বড়সড় বিতর্ক শুরু হয়েছে। সরকারি খাতায় যে খাদান থেকে রাজস্ব আসার কথা, সেখান থেকেই নিয়মভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রের খবর, মেদিনীপুরের বালি ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতে প্রায় ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে ইডি উদ্ধার করেছে ৬৫ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক নথি ও মোবাইল ফোনও। একই দিনে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের নয়াবসানে জিডি মাইনিংয়ের কর্মী শেখ জহিরুল আলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরও ২৫ লক্ষ টাকা।

WhatsApp Image 2025-09-08 at 5.07.35 PM

স্থানীয়দের দাবি, একসময় সাইকেল মিস্ত্রি ছিলেন জহিরুল, পরে ভিলেজ পুলিশে চাকরি পান। বর্তমানে তার বিশাল অট্টালিকা ও সম্পত্তির উত্থান এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

ইডির অনুমান, লিজ নেওয়া একাধিক খাদান থেকে নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত বালি তোলা হয়েছে, যার জেরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব নয়ছয় হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে— টাকার পাহাড় শুধু ব্যবসায়ীদের ঘরেই থেমেছে, নাকি প্রভাবশালীদের কাছেও পৌঁছেছে? এর পাশাপাশি কি কালো টাকা সাদা করার চক্রও চলছে? সেই দিকেও নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।