রীতি মেনেই ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে পূজিত হচ্ছে সবংয়ের ভূঁইয়া বাড়ির দুর্গাপুজো

৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে কোলন্দা ভূঁইয়া বাড়ির গড়ের পুজো।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-09-19 at 19.28.13

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: পায়ে পায়ে কয়েক শতাব্দী পার। এখনো সেই একই প্রথা। একই নিয়ম মেনে দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের ভূইয়া বাড়িতে। তবে এই পুজোর আরো একটি পরিচয় রয়েছে, এটি রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়ার বাড়ির পুজো। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের দশগ্রাম অঞ্চলের কোলন্দা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির পুজো। দেবীর আরাধনায় এখানে মিলেমিশে রয়েছে ঐতিহ্য ও সাবেকিয়ানা। এই পুজো মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়ার বাড়ির ত্রয়োদশ প্রজন্মের পুজো বলে পরিচিত। এই পূজোকে ঘিরে পরিবারের সদস্যরা তো বটেই গ্রামের মানুষরা হইহুল্লোড়ে মেতে উঠেন। 

পরম্পরা ও রীতি মেনেই ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে কোলন্দা ভূঁইয়া বাড়ির গড়ের পুজো। কথিত রয়েছে, গন্দপর্ণনারায়ণ ভূপাল দাস ভূঁইয়া বর্গীদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে কেলেঘাই নদীর পাড়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই শুরু হয় এই দুর্গাপুজো। বছরের পর বছর ধরে সেভাবেই হয়ে আসছে এই পুজো। এক সময় টেরাকোটার মন্দিরে দুর্গাপূজা হত কিন্তু আজ তা ভগ্নপ্রায় অবস্থায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, দেবীর কাছে যে যা মানত করেন, দেবী তার মনস্কামনা পূর্ণ করেন। ভূঁইয়া বাড়ির দুর্গাপূজাতে প্রতিদিন ভিড় জমান এলাকাবাসী। দুর্গা মন্ডপের পাশেই রয়েছে ভূঁইয়া পরিবারের কূল দেবতা শ্যামসুন্দর জিও ও শ্রী রাধিকার মূর্তি। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের পুজো চলে আসছে। কথিত আছে ওই পরিবারের একজন স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন যে কুল দেবতা পরিবারের সঙ্গেই থাকতে চান। তারপরেই কুল দেবতাকে দুর্গা মন্দিরে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সেই সময় থেকেই দূর্গামূর্তির পাশেই কূল দেবতা পূজিত হন। 

এই বাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য বাইরের কোনও মিষ্টি ঠাকুরকে নিবেদন করা হয় না। বাড়িতে তৈরি করা মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়া হয় মাকে। নবমীর দিনে কুমারী পূজার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। পাশাপাশি দশমীতে চলে সিঁদুর খেলা।

সারা বছর রাজনৈতিক কাজ, মন্ত্রীত্বর কাজ করলেও পুজোর দিনগুলিতে কিছুটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ করেন রাজ্যের মন্ত্রী ড: মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। দেশ-বিদেশে যারা থাকেন তারা উপস্থিত হন গ্রামের বাড়িতে। আর সেই সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই সময় কাটান মন্ত্রী। অবশ্যই সঙ্গে থাকেন মানসের ছায়া সঙ্গী তথা মন্ত্রী পত্নী গীতা রানী ভূঁইয়া।