খানাখন্দ! রাস্তার হাল নিয়ে তুঙ্গে তরজা

এ কেমন রাস্তা! খানাখন্দ ভর্তি। যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। এ নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। খারাপ রাস্তার জন্য দায়ী কে? উঠছে প্রশ্ন।

author-image
Pallabi Sanyal
আপডেট করা হয়েছে
New Update
1111



নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম :  গোটা শহরে হাতে গোনা কয়েকটি রাস্তা বাদ দিয়ে বেশিরভাগ রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। দাবি, ঝাড়গ্রাম শহরের মোট ১৭ কিলোমিটার রাস্তা রাজ্য পূর্ত দপ্তরের অধীনে। বাকি ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা ঝাড়গ্রাম পৌরসভার অধীনে। ফলে খারাপ রাস্তার দায় সরাসরি ঝাড়গ্রাম পুরসভার ওপর বর্তায় বলেই দাবি বিরোধীদের। ঝাড়গ্রাম শহরের মূল রাস্তাটি ঠিকঠাক থাকলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভিতরে রাস্তাগুলির হাল বেহাল। রাস্তা ভেঙেচুরে একাকার। এই বর্ষায় একে বেশ কয়েকটি রাস্তা কার্যত পুকুরে পরিণত হয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আরও অভিযোগ, প্রতি একশো মিটার রাস্তায় ছোট-বড় ৩০ টির বেশি গর্ত রয়েছে। সেখানে জল জমে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সমস্ত রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বহু স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায়ই ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। তবুও প্রশাসনের টনক নড়ছে না অভিযোগ শহর বাসীর। রাস্তার হাল নিয়ে ঝাড়গ্রাম পুরসভাকেই দুষছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ঝাড়গ্রামের সিপিএম জেলা সম্পাদক পার্থ যাদব বলছেন, ঝাড়গ্রাম শহর জেলা সদর হওয়ায় এখানে জেলাশাসক-সহ বিভিন্ন সরকারি অধিকারিকদের দফতর রয়েছে। তবুও রাস্তা নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। ঝাড়গ্রাম পুরসভাও চোখ বন্ধ করে রয়েছে। এর দায় পুরসভার পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনেরও।

প্রায় একই বক্তব্য বিজেপি নেতৃত্বের। স্থানীয় বিজেপির জেলা সহ সভাপতি দেবাশিষ কুন্ডুর বক্তব্য, প্রতি বছর বর্ষা আসলেই পুরসভার টনক নড়ে। ভাঙা রাস্তাগুলো নতুন করে সরিয়ে দেওয়ার বদলে জোড়াতালি দিয়ে দায় সারছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের পুরবোর্ড ব্যাপক দুর্নীতিতে যুক্ত।

ঝাড়গ্রাম জেলা সদর হওয়ায় প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ আসেন নানান কাজে। এছাড়া স্থানীয় মানুষজন এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক ঝাড়গ্রাম শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু ভাঙা রাস্তা ও খানাখন্দে ভরা  রাস্তার জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় আটো ও টোটো চালকরাও প্রাণ হাতে করে গাড়ি চালান। দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের দাবি উঠছে সর্বত্র। যদিও ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রাস্তা খারাপের কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হবে। ঝাড়গ্রাম শহরের রাস্তা নিয়ে অভিযোগ বহুদিনের। কিন্ত জেলা প্রশাসন বা পুরসভা কোনও পক্ষেরই হেলদোল নেই। এখন দেখার বেহাল রাস্তাগুলির হাল ফেরাতে কি উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন।