ডুলুং নদীর জল বেড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সেতু নির্মাণের দাবি তীব্র

ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টিতে ডুলুং নদীর জল বেড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সেতু নির্মাণের দাবি তীব্র।

author-image
Aniket
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Screenshot 2025-06-30 11.25.27 AM

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে  ঝাড়গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ডের একাধিক নদী ও খালে জল বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে ফের একবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার জনজীবন। সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ডুলুং নদীতে। নদীর জল হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চিল্কিগড় এলাকায় ডুলুং নদীর উপর দিয়ে ঝাড়গ্রাম শহর এবং জাম্বনী ব্লকের মধ্যে সমস্ত রকম যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। সকালবেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন। মালবাহী ও যাত্রীবাহী বহু গাড়ি চিল্কিগড় এলাকায় আটকে পড়েছে। জাম্বনী ব্লকের একমাত্র হাসপাতাল, ব্লক অফিস ও থানা—সবই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ব্লকের এক পাশে পড়ে যাওয়ায় পুলিশের নজরদারির ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুবার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে এই সমস্যার কথা জানানো হলেও আজ পর্যন্ত চিল্কিগড়ের ডুলুং নদীর উপর একটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়নি। এলাকাবাসীদের দাবি, অবিলম্বে এই নদীর উপর পাকা ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। প্রতিবছর বর্ষা এলেই একই সমস্যা দেখা দেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তা কখনই স্থায়ী সমাধান নয়। এদিকে, ডুলুং নদীর জল বৃদ্ধির পাশাপাশি গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের তপসিয়া এলাকায় কাঁথুয়া খালের জল বিপজ্জনক হারে বেড়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, এবং ওড়িশা রাজ্যের এলাকাগুলি।

রাস্তা যথেষ্ট চওড়া হলেও এখনও পর্যন্ত সেতু নির্মাণ না হওয়ায় কজওয়ের উপর দিয়ে যান চলাচল নির্ভর করছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ওই কজওয়ে সম্পূর্ণ জলের নিচে চলে গিয়েছে। অপরদিকে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের গোয়ালমারা এলাকার বড়ামারা কজওয়েও এখন জলের তলায়। ফলে মহাপাল, পেটবিন্ধি, গোয়ালমারা, সাঁকরাইল ব্লক সহ একাধিক এলাকার সাথে ঝাড়গ্রাম শহরের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনদিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে প্রায় সব সেতু এবং কজওয়ে জলের তলায় চলে গেছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত বড় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, আগামী কয়েকদিন আরও বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এখনই যদি প্রশাসনের তরফ থেকে জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে জনজীবনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। সাধারণ মানুষের দাবি— দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ হোক, প্রশাসন এগিয়ে আসুক।