জল সঙ্কট ও দূষণে জেরবার! প্রতিবাদে বিক্ষোভ

কারখানার কর্তৃপক্ষ এলাকায় সাবমারসিবল পাম্প লাগিয়ে জল নিয়ে নেওয়ার কারণে এলাকার এই জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝাঁঝরা গ্রামের পুরুষ ও মহিলাদের একাংশ কারখানা গেটের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভে সামিল হন।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
laudoha protest.

জল সঙ্কট ও দূষণে জেরবার লাউদোহার ঝাঁঝরা গ্রামের বাসিন্দারা

হরি ঘোষ, লাউদোহা : কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গ্রামের শিশুরা। এমনই অভিযোগ তুলে 

পাণ্ডবেশ্বরের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁজরা গ্রামের বাসিন্দারা এলাকার একটা বেসরকারি কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভে 

সামিল হল। 

দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁঝরা গ্রামের মোট বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। ঝাঁঝরা গ্রামের বাসিন্দা 

তাপস চক্রবর্তী জানান, ''২০০১ সালে গ্রামের অদূরে এই কারখানাটি তৈরি হওয়ার সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ গ্রামের উন্নয়নের 

বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এতগুলো বছরেও কারখানা কর্তৃপক্ষ উদাসীন। কারখানার সিএসআর তহবিলে 

কোনো উন্নয়ন হয়নি।'' বিক্ষোভকারী অভয়া পাহান নামে গ্রামের এক মহিলা জানান, ''বাড়ির দরজা বন্ধ করে রাত্রে 

ঘুমোলেও সকালে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে কারখানার কালো ধোঁয়া এবং কালো ধুলোর আস্তরণ। কারখানা কর্তৃপক্ষের এই 

অমানবিকতার কারণে এলাকায় বাড়ছে দূষণ। যার ফলে এলাকার শিশুদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে সর্দি-কাশি, হাঁপানির মতো 

রোগ।'' 

 কারখানার কর্তৃপক্ষ এলাকায় সাবমারসিবল পাম্প লাগিয়ে জল নিয়ে নেওয়ার কারণে এলাকার এই জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। 

একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে জল সঙ্কট ও দূষণে জেরবার লাউদোহার ঝাঁঝরা গ্রামের বাসিন্দারা। এই অভিযোগ তুলে 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝাঁঝরা গ্রামের পুরুষ ও মহিলাদের একাংশ কারখানা গেটের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভে সামিল 

হন।

কারখানার দূষণের কারণে গ্রামের লোকের সমস্যার কথার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সুদীপ মজুমদার 

বলেন, ''দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে মেশিনারি ব্যবহার করা হয়, কয়েকদিন ধরে সেটা খারাপ রয়েছে। আর যার ফলেই একটু 

সমস্যা হয়েছে। যেহেতু এই মেশিনটি বিদেশ থেকে আনা হয়, তাই এই সমস্যা। খুব শীঘ্রই মেশিন চলে আসবে এবং এলাকার 

মানুষের সমস্যার সমাধান হবে।''  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনার ফলে আসে লাউ দোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ। পুলিশের 

আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামবাসীদের 

নিয়ে একটা ত্রিপাক্ষিক আলোচনা করবে প্রশাসন । যার ফলেই উঠে আসবে সমস্যার সমাধান, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।