৩৬ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন! খনির উৎপাদন বন্ধ করে বিক্ষোভ

তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এদিকে হাড়ভাঙা খাটুনির পর ঘরে ফিরলেও বিশ্রাম নেওয়ার উপায় নেই। কারণ টানা ৩৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই খনি অঞ্চলে। প্রতিবাদে উৎপাদন বন্ধ রেখে চলছে বিক্ষোভ।

author-image
Pallabi Sanyal
আপডেট করা হয়েছে
New Update
gg



হরি ঘোষ, অন্ডাল : তীব্র গরমে জেরবার খনি অঞ্চলবাসী । তার ওপর 'গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার' মত ৩৬ ঘন্টা ধরে এলাকায় নেই বিদ্যুৎ । ঘটনাটি  ঘটেছে অন্ডালের পড়াশকোল ইস্ট কোলিয়ারির। পড়াশকোল ইস্ট কোলিয়ারির আবাসন গুলিতে বিগত ৩৬ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ । রাজ্যে যেখানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি রয়েছে  সেখানে এই তীব্র গরমে এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন খনি আবাসনের আবাসিকরা। আর তারই প্রতিবাদে রবিবার পড়াশকোল ইস্ট কোলিয়ারির উৎপাদন বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারির আবাসনের আবাসিকরা।

বিক্ষোভকারী সংশ্লিষ্ট খনির খনি কর্মী রাজু গোসাঁই বলেন যে দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই । তার ওপর বিগত ২৪ ঘন্টা ধরে তিনি কাজ করেছেন খনিতে। হাড়ভাঙা শ্রমের পরেও এখনো পর্যন্ত জেগে আছেন। বিশ্রাম নিতে পারেননি। চলছে না পাখা। দু চোখের পাতা এক করা যাচ্ছে না। ঘুমোতে পারেননি গরমের কারণে । তিনি এও বলেন যে  বিদ্যুৎ পরিষেবা না পেয়ে ইসিএল আধিকারিকদের দ্বারস্থ হলে তারা তাদের গ্রামের লোকেদের লাইন কাটার কথা বলেন।  এবার রাজু বাবুর প্রশ্ন হল, খনি আবাসনের আবাসিকরা  কেন গ্রামের লোকেদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে যাবেন? কেন তারা গ্রামের বিদ্যুতের লাইন কাটতে যাবেন? এটা তাদের কাজ নয়।  এটা সম্পূর্ণ ইসিএলের ব্যাপার । তিনি আরো বলেন যে  খনি অঞ্চলের আবাসিকরা  ইসিএল এর কোলিয়ারিতে কাজ করেন। তাদের কাজ দিয়েছে ইসিএল। কোয়ার্টারে থাকতেও  দিয়েছে ইসিএল। ফলে তাদের আবাসনে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ইসিএল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু ইসিএল কর্তৃপক্ষ সেটা না করে সংশ্লিষ্ট খনি কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের সঙ্গে ইসিএলের আবাসনের আবাসিকদের ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আবাসিকদের একটাই দাবি, অবিলম্বে এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন চলবে তাদের ।

প্রসঙ্গত, শুধু খনি অঞ্চলই নয়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল শহরের মানুষও। নেই পর্যাপ্ত জোগান। তার ওপর রয়েছে ওভার লোডিংয়ের সমস্যাও। বিদ্যুৎ প্রদানকারী সংস্থার তরফে এসি সঠিকভাবে ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে গ্রাহকদের। এদিকে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল গ্রাহকরা প্রতিদিনই দেখাচ্ছে বিক্ষোভ। ঘটছে বিদ্যুৎ অফিসে ভাংচুরের ঘটনাও।