স্কুলের হল ঘরে ক্লাস নিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা! দিলেন বিশেষ পাঠ

কিসের ক্লাস নিচ্ছেন তারা?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-05-15 at 3.20.37 PM

হরি ঘোষ, দুর্গাপুর: স্কুলের হল ঘরের চেয়ারে বসে পড়ুয়ারা। ক্লাস নিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে এ ক্লাস বাংলা, গণিত বা বিজ্ঞানের নয়। এ ক্লাস সাইবার প্রতারণা নিয়ে সচেতনতার। পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলে দুর্গাপুরের জেমুয়া ভাদুবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের 'মাস্টারমশাই' হয়ে গেলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা। 

এ.আই প্রযুক্তির ওপর ভর করে এগোচ্ছে দুনিয়া। সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাড়ছে সাইবার প্রতারণাও। অজানা লিঙ্কে একটা আঙ্গুল পড়তেই সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকা মুহূর্তের মধ্যে ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়েও যাচ্ছে। অজানা নাম্বার থেকে ফোন করে নানান লোভনীয় ফাঁদে ফেলা হয় আর অনেককে লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়ে পথেও বসতে হয়েছে। দুর্গাপুরের বহু মানুষও সেই ফাঁদে পা দিয়ে হারিয়েছে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করে ব্যাঙ্কে রাখা সঞ্চয়ের টাকা। তবে রাজ্যজুড়ে সাইবার প্রতারণা ঠেকাতে তৎপরতা বেড়েছে রাজ্য পুলিশের। বৃহস্পতিবার জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সাইবার সচেতনতা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। উপস্থিত ছিলেন পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকরা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়নুল হক সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। কয়েকশো পড়ুয়া আর অভিভাবকদের সামনে কিভাবে সাইবার প্রতারণা হয় তার একাধিক ঘটনা তুলে ধরে সচেতনতা গড়ে তোলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায়। ছিলেন সিআই(এ) রণবীর বাগ, নিউ টাউনশিপ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নাসরীন সুলতানা, বিধাননগর ফাঁড়ির ইনচার্জ মিহির দে প্রমুখ। এসিপি পড়ুয়াদের আর অভিভাবকদের বলেন, "মোবাইলে যদি অজানা লিঙ্ক ভেসে আসে কেউ ক্লিক করবে না। যদি অজানা নাম্বার থেকে ফোন করে বলা হয় আকর্ষণীয় পুরস্কারের জন্য আমাদের বলা নম্বরটি টিপুন, তখন সেই ফাঁদে কেউ পা দেবে না। সেই নম্বরটি প্রয়োজন হলে পুলিশকেও দিয়ে দেবে'। 

studentclass