নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম : ভালবাসার সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসাই কাল হল সাঁকরাইলের ৩২ বছরের গৃহবধূ পূর্ণিমা মান্ডির। খুন হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে খুনের কিনারা করল সাঁকরাইল থানার পুলিশ। গত ১৮ এপ্রিল ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের লাউদহ এলাকার মঙ্গলাবাঁধি খালের কাছে পূর্ণিমা মান্ডির দেহ উদ্ধার হয়। ছাগল চরাতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। স্থানীয় গ্রামবাসী ও পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। তার মুখ দিয়ে সেদিন গ্যাজলা বেরিয়েছিল। পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। সেদিন তার মৃত্যু ঘিরে বেশ রহস্য ঘনীভূত হয়েছিল। খুনের তদন্তে ছিলেন গোপীবল্লভপুর সার্কেলের ইন্সপেক্টর মুকুল মিঞা। ঝাড়গ্রামের ডিএসপি সব্যসাচী ঘোষ বলেন, ''তদন্তে নেমে পুলিশ রঞ্জিত মান্ডি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। সে স্বীকার করেছে তার সঙ্গে ওই মহিলার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।'' ডিএসপি বলেন, ''প্রথমে তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে পূর্ণিমার পেটে পাঁচ- ছ বার ছুরির জোরালো আঘাতে ফালা ফালা করে আততায়ী।'' সেই সময় ওই মহিলার মুখ দিয়ে সাদা ফেনার মতো বের হচ্ছিল। দুজনের প্রেমের কথা গ্রামবাসীদের মধ্যেও ছড়িয়েছিল। পুলিশের জেরায় ধৃত যুবক জানায়, 'পূর্ণিমার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইদানিং ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে ওই মহিলা বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। সেই নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। এরপর আক্রোশের বশে রঞ্জিত খুন করে পূর্ণিমাকে। মৃত পূর্ণিমা মান্ডির বাড়ির উল্টো দিকেই ধৃত যুবক রঞ্জিতের বাড়ি। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ওই যুবককে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ধৃতকে শনিবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলে পুলিশ। এরপর ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কিনা সাঁকরাইল থানার পুলিশ খতিয়ে দেখছে। গোপীবল্লভপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর মুকুল মিঞা গোটা ঘটনার তদন্ত করে শনিবার বিকেলে ধৃত যুবককে সঙ্গে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। সাথে ছিলেন সাঁকরাইল থানার সাব-ইন্সপেক্টর ধীরাজ মাহাত, সাঁকরাইল থানার এ.এস.আই সজল কুমার সুর, এ.এস.আই রাজবিহারী মুখার্জি, সাব ইন্সপেক্টর সুব্রত প্রামাণিক সহ সাঁকরাইল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।